ঋত্বিককুমার ঘটক বাংলাদেশের ভূমিপুত্র। ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর তিনি এবং তাঁর যমজ বোন প্রতীতি দেবী ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। ঋত্বিক আজীবন তাঁর নাটকে, সাহিত্যে এবং চলচ্চিত্রে এ দেশ ছেড়ে যাওয়ার মর্মবেদনার কথা বারে বারে বলে গেছেন। জন্মভূমি বাংলাদেশকে তিনি নিজের জীবনে নানাভাবে আমৃত্যু ধারণ করে গেছেন। তাঁর চলচ্চিত্র নিছক বিনোদনের বাহন হয়ে কখনও থাকেনি। আমাদের সমাজের নানা অসঙ্গতি, অনিয়ম আর দুর্দশার কথা তিনি তাঁর চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তাই তাঁর চলচ্চিত্র তাঁর জন্মের শতবর্ষ এবং প্রয়াণের অর্ধশত বছর পরেও আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
গত ৭ নভেম্বর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের যৌথ আয়োজনে ঋত্বিককুমার ঘটক জন্মশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম ফিল্ম ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য দেন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের পরিচালক ব্রুনো ল্যাকরাম্প, চট্টগ্রাম ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক আরাফাতুল আলম এবং সভাপতি শৈবাল চৌধূরী। অতিথিবৃন্দ অধিবেশনে প্রদর্শিত ছবি এবং ঋত্বিকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। এ অধিবেশনে ঋত্বিককুমার ঘটক নির্মিত দু’টি বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ৭ নভেম্বর প্রদর্শিত হয় মেঘে ঢাকা তারা এবং গতকাল শনিবার প্রদর্শিত হয় তিতাস একটি নদীর নাম।
ঋত্বিক জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সুদৃশ্য পোস্টার, ইনস্টিটিউটের বুলেটিন চিত্রপট এবং জার্নাল ডিপ ফোকাসের ঋত্বিক সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্বে আগামী ১৪ নভেম্বর বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হবে ঋত্বিক ঘটক স্মারক বক্তৃতা। এতে ‘জন্মশতবর্ষে ঋত্বিকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক আলম খোরশেদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











