জীবন চলার পথে নানাবিধ সমস্যা–সংকট ও বাধা–বিপত্তি আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই দুঃসময়ে মানুষ তার ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে সমস্যা থেকে মুক্তি পায় এবং লক্ষ্য–উদ্দেশ্য অর্জনে সক্ষম হয়। এই কারণে ধৈর্যকে যে কোন সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীতে যারা সুন্দর জীবন গড়েছে,ত ারা ধৈর্যের মাধ্যমেই তা করতে পেরেছে। অনেকে ধৈর্যের মাধ্যমে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরেও আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইহজগতে এমন কোন কাজ নেই, যা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা ছাড়া সমাধান করা যেতে পারে। এটি মানব জাতির একটি মহৎ গুণও বলা যায়। ’সবুরে মেওয়া ফলে’– বাংলা ভাষায় একটি প্রচলিত বাক্য। ইতিহাসের সকল ব্যক্তিদের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তাদের এই বিজয়ের পেছনে ধৈর্য শক্তি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ব নন্দিত লেখক হেলেন কেলার অন্ধ হওয়ার পরও ধৈর্য ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে লেখাপড়া শিখেছেন এবং মানুষের জন্য কাজ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ধৈর্যকে একটি মহৎ গুণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইমাম গাজ্জালি(রহঃ) তাঁর ইহইয়া উলুমুদ্দিন গ্রন্থে বলেছেন, মহান আল্লাহ কোরআনে প্রায় সত্তরেরও অধিকবার ধৈর্যের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রিয় রাসুল(সাঃ) এর জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই ধৈর্যের পরীক্ষায় পূর্ণ। তিনি ধৈর্যের সঙ্গে সকলকে হেদায়েতের পথে ডেকেছেন। কাফেরদের শত অত্যাচার ও জুলুমের উপর ধৈর্যধারণ করেছেন এবং দাওয়াতের পথে অবিচল থেকেছেন।
দুঃখ ও আনন্দের বৃত্তে মানুষের জীবন অবর্তমান। দুঃসময়ে ধৈর্য ও সহনশীলতা হয়ে ওঠে জীবনের আশ্রয়স্থল। ধৈর্য কেবল দুঃসময়ে নয়, বরং মানুষের জীবনের অগ্রগতির জন্যও অপরিহার্য।












