একসময় বাঁশখালী সড়কে দেখা যেত শুধু ভ্যান, রিকশা, টেলাগাড়ি ও সাইকেল। আজ সেই একই সড়কে এসব যান তুললেই যেন মৃত্যুকে আহ্বান জানানো হয়। চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আলোচিত ও সমালোচিত সড়ক এটি বাঁশখালীর প্রধান সড়ক। আনোয়ারা উপজেলার সীমান্ত পেরিয়ে তৈলারদ্বীপ সেতুর পরই শুরু হয় বাঁশখালী উপজেলা। প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের এই জনপদের যোগাযোগের একমাত্র প্রধান মাধ্যম এই সড়কটি।
মাত্র আট ফুট প্রশস্ত এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করছে। কর্ণফুলী টানেল চালু হওয়ার পর থেকে এই পথ হয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে যাতায়াত বেড়েছে বহুগুণে। দূরত্ব কম হওয়ায় ভারী বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ দূরপাল্লার যানও এই পথ ব্যবহার করছে। ফলে একটি বাস ও একটি সিএনজি একসঙ্গে চললে পুরো রাস্তাই কার্যত বন্ধ হয়ে যায়, সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই সড়কের পাশে অবস্থিত অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন শত শত শিশুশিক্ষার্থী এই সড়ক পারাপার করে জীবন ঝুঁকি নিয়ে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটে দুর্ঘটনা; প্রাণ হারাচ্ছে শিশু, পথচারী কিংবা পশু। অসংখ্য পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে, অনেকেই এখনও চিকিৎসাধীন।
আমরা সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই দ্রুত যেন বাঁশখালী সড়ককে ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কে. এম. মুরাদ
শিক্ষার্থী,
সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।












