ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিগ্রহণের একটি ভিডিও ফাঁস করায় সামরিক বাহিনীর সাবেক এক শীর্ষ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, মেজর জেনারেল ইফাত তোমের–ইয়েরুশালমিকে সোমবার স্থানীয় সময় রাতে আটক করা হয়। বিবিসি জানিয়েছে, মেজর জেনারেল ইয়েরুশালমি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মিলিটারি অ্যাডভোকেট জেনারেল পদ থেকে গত ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার পদত্যাগ করেন। তিনি মিলিটারি অ্যাডভোকেট জেনারেল কোরের প্রধান ছিলেন। পদত্যাগের সময় তিনি জানান, ওই ভিডিও ফাঁসের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করছেন। খবর বিডিনিউজের।
তার পদত্যাগের দিনেই ইসরায়েলি গণমাধ্যমে তার পদত্যাগপত্রের একটি কপি প্রকাশ পায়। তাতে দেখা যায়, ইয়েরুশালমি স্বীকার করছেন যে তার দপ্তর গত বছর গণমাধ্যমের কাছে ভিডিওটি ফাঁস করেছিল। ওই ফাঁসের ঘটনার জেরে বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযুক্ত পাঁচ সামরিক সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের আগস্টে একটি ইসরায়েলি নিউজ চ্যানেলে সমপ্রচারিত ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির কারাগারে ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনারা এক বন্দিকে একপাশে নিয়ে যাচ্ছেন, এরপর তাকে রায়ট ঢাল দিয়ে ঘিরে রেখে মারধর করেন এবং তার মলাশয়ে একটি সূঁচালো শলাকা ঢুকিয়ে দেন। মারাত্মক জখমসহ আহত ওই বন্দিকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সমপ্রতি ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তার অনুমতিতে তার দপ্তরই ওই ভিডিওটি ফাঁস করেছিল।
নজরদারি ভিডিও ফাঁসের এই ঘটনা নিয়ে চলমান তদন্তের মধ্যে ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়েরুশালমিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান। ছুটিতে পাঠানোর দুই দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনাটিকে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্ভবত রাষ্ট্রটির ওপর হওয়া সবচেয়ে ‘গুরুতর জনসংযোগ আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইয়েরুশালমিকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তেল আবিবের একটি আদালত।












