প্রাথমিকের সংগীত শিক্ষক পদ বাতিলের ব্যাখ্যায় যা বলছে সরকার

| বুধবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৫ at ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে সৃষ্টি করা সংগীত শিক্ষক পদ বাতিলের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, সেখানে প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ও বৈষম্যের কথা বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বিবৃতি দিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কমিটি প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি এবং বৈষম্যের আশঙ্কা দেখে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছে। সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্প সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তীকালে অর্থের সংস্থানসাপেক্ষে সকল স্কুলে এরকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন এবং সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে। খবর বিডিনিউজের।

ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে রোববার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্টি করা সংগীত শিক্ষক পদ বাতিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে নতুন সৃষ্টি করা শরীরচর্চা শিক্ষকের পদটিও। এ দুটি পদ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫’ এ কিছু শব্দগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাবনা বাতিল বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নজরে এসেছে। সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীর চর্চা শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। সমপ্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলে একই শিক্ষককে ২০টির অধিক বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তার পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।

গত ২৮ অগাস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুল বয়সী রোহিঙ্গা মেয়েদের মাত্র ৩% শিক্ষার আওতায় : জরিপ
পরবর্তী নিবন্ধলঘুচাপ রূপ নিল সুস্পষ্ট লঘুচাপে, সম্ভাবনা কম নিম্নচাপের