যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নতুন মেয়র নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ভার্জিনিয়া এবং নিউ জার্সি রাজ্যের গভর্নর নির্বাচনেও। আগামী বছর কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের মনোভাব কী তার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া যাবে এই নির্বাচনগুলোর ফলে। নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানি, ৬৭ বছর বয়সী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালিয়েছেন। আরেকজন হচ্ছেন, রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া। তিনজনের মধ্যে মেয়র পদে লড়াই হবে। তবে জনমত জরিপে মামদানি এবং কামো দুইজনের চেয়েই পিছিয়ে আছেন স্লিওয়া। খবর বিডিনিউজের।
নিউ ইয়র্কের নির্বাচনে সবার নজর জোহরান মামদানির দিকে। তিনি প্রগতিশীল এবং তরুণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। জোহরান মামদানি একজন মুসলিম অভিবাসী। তিনি জয় পেলে নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসাবে ইতিহাস গড়বেন। ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে মামদানি নিউ ইয়র্ককে আরও সাশ্রয়ী করা নিয়ে প্রচার চালিয়েছেন। তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে আছে– বাসাভাড়া, মুদি বাজার এবং বেতনের মতো জীবন–যাত্রা ব্যয়ের বিষয়গুলোতে বেশি মনোযোগ দেওয়া।
তবে নির্বাচনের আগের রাত পর্যন্ত জনমত জরিপে মামদানি এগিয়ে থাকলেও পরে তার সঙ্গে কুমোর জনসমর্থনের ব্যবধান কমতে দেখা গেছে। সোমবার রাতে কুমোকে সমর্থন জানিয়েছেন রিপাবলিকান দলীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। এই দুই প্রভাবশালী মানুষের সমর্থন ভোটারদের মন পরিবর্তন করেছে কিনা তা বোঝা যাবে নির্বাচনের ফলে। মামদানি জিতলে নিউ ইয়র্কে ফেডারেল তহবিল কাটছাঁটের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।












