রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের কদলপুর আইডিয়াল হাই স্কুল সড়ক উন্নয়নে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে না দেখা পর্যন্ত ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন।
জানা যায়, অভিযোগ তদন্তে গতকাল মঙ্গলবার প্রকল্প এলাকায় যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ ও উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম। পরিদর্শনকালে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের সত্যতা পেয়ে ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তারা। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করা হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন।
ইউএনও জিসান বিন মাজেদ আজাদীকে বলেন, ব্যবহার করা ইটের মধ্যে ১০ ভাগ খারাপ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারকে ওই ইট পাল্টাতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ৯০ মিটার লম্বা স্কুলের রাস্তাটি আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কাজটি পেয়েছিলেন স্থানীয় ঠিকাদার নয়ন। উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত ইট দেখে ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। তারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানান।
কদলপুর আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করেছে। আমিও চাই, শিডিউল অনুসরণ করে কাজটি ভালোভাবে করা হোক।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া বলে, আমরা চাই আমাদের স্কুলের রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ ভালোভাবে হোক। যাতে অল্পদিনে নষ্ট হয়ে না যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২ ফুট প্রস্থের সড়কটির দুই পাশে ১০ ইঞ্চি করে দেয়াল ও দেড় ফুট এজিংয়ের কথা শিডিউলে উল্লেখ রয়েছে।
কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার নয়ন দাবি করেন, তিনি নির্ধারিত শিডিউল মেনে কাজ করছেন। তিনি বলেন, অনিয়ম হলে প্রশাসন দেখবে।
রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ ও আমি প্রকল্প এলাকায় গেছি। ঠিকাদারকে ডেকে নিম্নমানেন সব ইট সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কাজে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাকে জানানো হয়েছে।












