নিজ শহর কক্সবাজারে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে জাতীয় লিগের এবারের আসরের দ্বিতীয় পর্বে সেঞ্চুরির জোর সম্ভাবনা ছিল টেস্ট দলের অন্যতম শীর্ষ ব্যাটার মুমিনুল হকের। শতরানের খুব কাছাকাছি ছিলেন বাঁ–হাতি এই ব্যাটার। তিন অংকে পা রাখতে তার দরকার ছিল ১৬ রান; কিন্তু তা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত শতক থেকে ৮ রান পিছনে থেকেই সাজঘরে ফিরে গেছেন মুমিনুল। গতকাল রোববার বরিশাল পেসার রুয়েল মিয়ার বলে আউট হয়েছেন জাতীয় দলের এ তারকা ব্যাটার। ১৪৫ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৯২ রানে আউট হন তিনি। প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৬০ রান নিয়ে খেলতে নেমে মুমিনুল আউট হওয়ায় আর বড় হয়নি চট্টগ্রাম ইনিংস। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাঁহাতি পেসার রুয়েল মিয়ার বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি ৯২ রানে। আগের দিন ৪ উইকেটে ২৬০ রান করা চট্টগ্রাম বিভাগ এ দিন আর ১০০ রানও করতে পারেনি। বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংস শেষ হয় তাদের ৩৫৮ রানে। মুমিনুলের সঙ্গে ক্রিজে থাকা ইরফান শুক্কুরও (২১) ভালো করতে পারেননি। চট্টগ্রামকে একটু টেনে নেন দুই স্পিনার নাঈম হাসান (৩৫) ও হাসান মুরাদ (২৮)। শেষ দিকে নামে ধস। শেষ ৪ উইকেট হারায় তারা স্রেফ ৩ রানের মধ্যে। বরিশালের অধিনায়ক বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম শিকার করেন ৪ উইকেট। রুয়েল মিয়া এবং মইন খান পান ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ইয়াসিন এবং শামসুর। বরিশাল ব্যাটিংয়ে নেমে ইফতেখার হোসেন ইফতিখে হারায় শুরুতেই। আরেক ওপেনার জাহিদউজ্জামান বাইরে চলে যান চোট পেয়ে। এরপর আদিল বিন সিদ্দিক ও সালমান হোসেন ইমন ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে এগিয়ে নেন দলকে। ৯২ বলে ৪৩ করে আউট হন আদিল। এরপর আবার ব্যাটিংয়ে নেমে দিন পার করে দেন জাহিদ। সালমান অপরাজিত থাকেন ৯৫ বলে ৪৭ রান করে। আশিক এবং নাঈম হাসান ১টি করে উইকেট নেন। আজ খেলার তৃতীয় দিনে ৮ উইকেট হাতে রেখে চট্টগ্রামকে টপকে যেতে পারে কিনা বরিশাল তাই দেখার বিষয়।












