কক্সবাজারের পেকুয়ায় খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর। এছাড়া চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
পেকুয়া : পেকুয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল রোববার দুপুরে পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি কইড়া পাড়ায় পুকুরে ডুবে মোহাম্মদ হাছান (৮) ও জান্নাতুল নূরী (১০) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুই শিশু টৈটং ইউনিয়নের বনকানন এলাকার মো. আমিনের সন্তান।
জানা যায়, গত শনিবার মায়ের সঙ্গে মোহাম্মদ হাছান ও জান্নাতুল নূরী টৈটং ইউনিয়নের কইড়ার পাড়াস্থ খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গতকাল রোববার দুপুরে খালার বাড়ির পাশে পুকুরের পাড়ে ভাই–বোন স্থানীয় অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল। এক পর্যায়ে তারা দুজনই পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। এ সময় অন্য শিশুদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পানিতে ভাসমান অবস্থায় হাছান ও নূরীকে উদ্ধার করে। পরে তাদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, পুকুরে ডুবে ২ ভাই বোনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ দুইটি নিজেদের বাড়িতে রয়েছে।
চন্দনাইশ : চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বরমা ইউনিয়নের কেশুয়া গ্রামে পানিতে ডুবে উম্মে আইমান চৌধুরী (১৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, বরমা ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল মঞ্জুর চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে উম্মে আইমান চৌধুরী মাদরাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুরে হাত–মুখ ধুতে যায়। বেশকিছুক্ষণ পর পুকুরে তার কাপড় ভাসতে দেখে পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইমান বরকল ছালামতিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রসার ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। প্রায় দেড় বছর আগে একই পুকুরে নিহত আইমানের এক চাচাতো ডুবে মারা যায়। তখন থেকে আইমান একটু অস্বাভাবিক হয়ে পড়েন এবং মাঝে মাঝে মাথা ঘুরে পড়ে যেতেন। নিহত আইমান সাত ভাইয়ের এক বোন। পুকুরে ডুবে তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো বরমা ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।












