তানজানিয়ায় সাধারণ নির্বাচনের পর বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল। বুধবারের নির্বাচনের পর টানা তিন দিনের বিক্ষোভে অন্তত ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। এদিকে, প্রায় ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সামিয়া সুলুহু হাসান। বিরোধী দল চাদেমার মুখপাত্র এক ফরাসি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, প্রায় ৭০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে বিবিসিকে এক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। সরকার পরিস্থিতিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে বিক্ষোভ দমন করার লক্ষ্যে প্রশাসন কারফিউয়ের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। খবর বিডিনিউজের। বুধবার তানজানিয়ায় ভোট গ্রহণ হয়। স্থানীয় সময় শনিবার (গতকাল) দেশটির নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে। ফলাফলে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সামিয়া ৯৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার সামিয়ার শপথ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মূলত তরুণেরা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজধানী দার এস সালামসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার বিরোধী নেতাদের দমন করে গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে। প্রধান বিরোধী নেতা টুন্ডু লিসু এখন কারাগারে। আরেকজনকে প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি, যা প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান ও তার দল চামা চা মাপিনদুজি (সিসিএম)-এর ভূমিধস বিজয়ের অন্যতম কারণ। তানজানিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত দাবি করেছেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় কোনো সহিংসতা ঘটেনি। বিবিসিকে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ও কার্যকরভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশজুড়ে ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি। ইন্টারনেট বন্ধের উদ্দেশ্য ছিল এই ধ্বংসযজ্ঞ ঠেকানো এবং প্রাণ বাঁচানো। দার এস সালামের একটি হাসপাতালের সূত্র বিবিসিকে জানায়, বৃহস্পতিবার থেকেই তারা নিহত ও আহতদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, শহরের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের মর্গ ভর্তি হয়ে আছে। চাদেমার এক নেতা দাবি করেন, মানুষের চোখের আড়ালে রাতের অন্ধকারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে।
        











