জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির বিরোধিতা মেনে অনেক বিষয়েই ‘সেক্রেফাইস’ করেছেন দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, এখন তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চান। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে বিএনপি প্রথমে তো কোনো সংস্কারই চাচ্ছিল না। এরপর জনগণের চাপে তারা সংস্কার কমিশনে অংশগ্রহণ করেছে। খবর বিডিনিউজের।
এজন্য তিনি বিএনপিকে কয়েকবার ধন্যবাদ দিয়েছেন তুলে ধরে তাহের বলেন, বিএনপিকে জায়গা করে দিতে আমরা অনেক ‘সেক্রেফাইস’ করেছি। অনেক ‘পয়েন্ট মাইনাস’ করেছি। ‘যেমন এনসিসির প্রস্তাব ছিল, জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ করা। এখানে পিএসসিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য সাংবিধানিক ‘বডি’ খুলে দেওয়া। চাকরির নিয়োগ বা ইলেকশন কমিশনে যেন প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের দল কোনোরকম প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। বিএনপি এটার বহু বিরোধিতা করেছে। কেন করেছে– আল্লাহই ভালো জানেন।’
জামায়াতের নায়েবে আমির তাহের বলেন, আমরা আলোচনার সুবিধার্থে, আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সেক্রেফাইস করেছি। নাম পরিবর্তন তারা চাইছে, আমরা মেনে নিয়েছি বিএনপিকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমরা বেশি বললে, উনারা আবার উঠে চলে যেতে চায়। তাদের যেহেতু দরকার, তাই আমরা সেক্রেফাইস করেছি। বিএনপির মনোভাব বিষয়ে তিনি বলেন, তারা কোথায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তারা কোথায় ক্ষতি হচ্ছে, তাদের জন্য কোনটা উপযোগী সেই হিসাব করে তারা একটা সংস্কার চাচ্ছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় প্রধান একজনই না হওয়া, ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকার সুযোগ না রাখার বিষয়েও বিএনপির বিরোধিতা ছিল বলে তুলে ধরেন এই জামায়াত নেতা।
এসব বিএনপির বিপক্ষে না, দেশের জন্য, এমন মন্তব্য করে তাহের বলেন, এগুলো তো তার দলের বেলায় প্রযোজ্য, তারপরও বিএনপির বিরোধিতা ছিল। এখন ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনতিবিলম্বে আদেশ জারি, গণভোটের ঘোষণা এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
 
        
