রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে ছয়দিন পর উদ্ধার করে হাতি শাবকের মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। রোববার সকালে জেলার বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি গ্রামের লিটনের টিলা এলাকায় শাবকটির মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য করা হয়েছে নমুনা সংগ্রহ। ফরেনসিক রিপোর্টেই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ; এমনটাই জানালেন বন কর্মকর্তারা। এর আগে, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির আওতাধীন রাঙামাটির বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি গ্রামের লিটনের টিলা এলাকায় হাতি শাবকটি মারা যায়। বন বিভাগ বলছে, খাড়া পাহাড় থেকে পা পিছলে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে যায় শাবকটি এবং আহত অবস্থায় পরে হ্রদে ডুবেই মারা যায়। ঘটনার পর মঙ্গলবার থেকে হাতি শাবকের মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বন বিভাগ। কারণ শাবকটির পাশে দাঁড়িয়ে ছিল মা হাতিটি। মানুষের উপস্থিতি টের পেলে তেড়ে আসতো। রোববার মা হাতিটি দূরে সরে যাওয়ায় মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করে কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির স্টেশন অফিসার (এসও) মো. মতিউর রহমান বলেন, মা হাতিটি একটু দূরে সরে যাওয়ায় সকালে শাবকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং পরে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, সকালে শাবকটির মৃতদেহ উদ্ধার করে নমুনা (এক টুকরো) সংগ্রহ করা হয়। এরপর ওই এলাকায় (লিটনের টিলা) মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ করা নমুনার ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য সিএফ ওয়াইল্ডলাইফ কার্যালয়ে পাঠানো হবে। বর্তমানে ওই এলাকা থেকে হাতির পালটি কিছু দূরে সরে গিয়েছে।












