চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালসমূহ পরিচালনার ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবর প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষ একটি বক্তব্য প্রদান করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সব টার্মিনাল, জেটি, ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থাপনার একক মালিকানা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো টার্মিনালের মালিকানা ইতোপূর্বে কখনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বন্দর কর্তৃপক্ষ বা সরকারের ছিল না বা এখনো নেই। বাংলাদেশের প্রচলিত বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে শুধু লাইসেন্সি হিসেবে অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিবের সই করা বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালসমূহ পরিচালনার ব্যাপারে কতিপয় সংবাদমাধ্যম সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছে। এসব অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সাধারণ জনগণ ও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
এতে বলা হয়, কতিপয় গণমাধ্যমে কোনো বিষয়ে প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞাত না হয়ে মনগড়া বা ধারণাভিত্তিক বা অনির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে সংবাদ পরিবেশন করা হলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর সম্পর্কিত মনগড়া, অবাস্তব সংবাদ বন্দরের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় অন্তরায়। বন্দরের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বজায় রাখা এবং ক্রমবর্ধমান উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাসহ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য। চট্টগ্রাম বন্দর সম্পর্কিত সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।












