নির্বাচনি জোট গঠন প্রশ্নে এনসিপির দুয়ার সব দলের জন্য খোলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি এখনো পর্যন্ত নিজেদের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করে সাংগঠনিক পরিসর বৃদ্ধিতে কাজ করছে। যদি জাতীয় স্বার্থে দেশের প্রয়োজনে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমরা সে জোটের জন্য এখনো পর্যন্ত ওপেন রয়েছি। আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো দলের সঙ্গে সুনিশ্চিতভাবে জোটের বিষয় নিয়ে, আসনের বিষয় নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করি নাই। কিন্তু আমরা সকলের জন্য ওপেন রয়েছি। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিডিনিউজের।
আখতার হোসেন বলেন, আমরা মনে করি যে, নির্বাচনি জোট সেটা এক ধরনের বিষয়; আর সনদ বাস্তবায়ন সেটা অন্য ধরনের বিষয়। সনদ বাস্তবায়নকে আমরা নির্বাচনি ভাগাভাগির অংশ হিসেবে আমরা দেখতে প্রস্তুত নই। আমরা মনে করি, সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পরেই নির্বাচনি জোট নির্বাচনমুখী যে আসনের ব্যাপারগুলো রয়েছে, সেই বিষয়গুলোতে আমরা পরিষ্কার সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।
আখতার হোসেন বলেন, আমরা চাই, প্রত্যেকটা দল তারা তাদের যে প্রতীক আছে, সে প্রতীকেই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি যেন শাপলা প্রতীকেই সামনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে– সে কারণে আমাদের সংগ্রাম আমরা জারি রেখেছি।
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের দলের যারা প্রার্থী হবেন বিভিন্ন আসনগুলোতে, সেটা আমরা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করব। জোটের বিষয়ে আবারও বলি যে, আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো দলের সঙ্গে সুনিশ্চিতভাবে জোট সংক্রান্ত আলোচনা আমরা সূত্রপাত করিনি। আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়গুলো নিয়ে প্রায় প্রত্যেকটা দলের সঙ্গেই আমাদের আলোচনা চলছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত হলেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এ সনদে সই করবে জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, আমরা মনে করি, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয় একটা আনুষ্ঠানিকতা; যে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জুলাই সনদের বাস্তবায়নের যে জায়গাটি আছে– সেটা আসলে সুনিশ্চিত করা সম্ভবপর নয়। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জায়গাটা সুনিশ্চিত হলে পরেই জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার ব্যাপারে আগ্রহী রয়েছে।
এনসিপি নেতা আখতার বলেন, কমিশন আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যেটাকে আমরা একটা অগ্রগতি হিসেবে দেখি। তথাপিও সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য কী, সে বিষয়গুলো তারা আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন, যেটা আমাদেরকে এখনো পর্যন্ত আশাবাদী হতে দেয় নাই। আমরা মনে করি যে, কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে যে আন্তরিকতার জায়গা থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ প্রস্তুত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সেটাও যেন কোনোভাবেই জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে একটা কাগুজে দলিল হিসেবে জাতির কাছে বাস্তবায়ন পরিপন্থিভাবে উপস্থাপিত না হয়, সে ব্যাপারে আমরা ঐক্যমত কমিশনকে সর্বাধিক খেয়াল রাখার জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি।












