সাইফ উদ্দিন ও সৌম্য কেন দলে নেই ব্যাখ্য দিলেন প্রধান নির্বাচক

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ at ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

টিটোয়েন্টি সিরিজে খেলতে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে আসেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। কিন্তু সন্ধ্যায় ঘোষিত স্কোয়াড বড় বিস্ময় হয়ে আসে অনেকের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই টিটোয়েন্টির দলে নেই তার নাম! চট্টগ্রামে পাঠিয়েও সাইফ উদ্দিনকে কেন দলে রাখা হয়নি, সেটি জানতে চাওয়া হয়েছিল প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের কাছে। গতকাল শুক্রবার তিনি শুধু ব্যাখ্যা করেন এই অলরাউন্ডারকে দলে না রাখার কারণ। ‘এটা ১৫ জনের স্কোয়াড। বিশ্বকাপের যখন দল যাবে তখনও ১৫ জনের স্কোয়াডই যাবে। এখন থেকেই আমরা ১৫ জনের মধ্যেই কম্বিনেশন সেট করার চেষ্টা করব। স্কোয়াডে চারটা সিমার (পেসার) রাখতে গেলে আমাকে কাউকে না কাউকে বাদ দিতেই হতো। এই স্কোয়াড তো প্রথম দুই ম্যাচের। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরের দিকে (সাইফ উদ্দিন) থাকবে হয়তো। আমার ১৫ জন ক্রিকেটারকে দিয়ে দল দিতে হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে যাদেরকে অন বোর্ড (দলভুক্ত করা) করতে পারব, তাদের নিয়ে দল সাজিয়েছি।’ সাইফ উদ্দিন সবশেষ খেলেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টিটোয়েন্টিতে। বিসিবির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সাইফ উদ্দিনকে তৃতীয় টিটোয়েন্টির দলে রাখা হতে পারে এবং আগামী বিশ্বকাপের জন্য সম্ভাব্য যে বড় তালিকা আছে, সেখানেও তিনি আছেন। তাকে দলের সঙ্গে রাখার ভাবনাতেই মূলত চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। শনিবার থেকে চার ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। তিনি যদি জাতীয় লিগ খেলতে যান এবং পরে তৃতীয় টিটোয়েন্টির দলে তাকে রাখা হয়, তাহলে মানসিক ও ক্রিকেটীয় প্রস্তুতি তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপাতত তাকে দলের সঙ্গেই অনুশীলনে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই ব্যাপারগুলো সমন্বয়ের দায়িত্ব যাদের, বিসিবির সেই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীনের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল সাইফের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন,‘সাইফ উদ্দিন দলে না থাকলেও চট্টগ্রামে টিটোয়েন্টি দলের প্রস্তুতিতে ওকে দরকার। আমরা আগেও এমনটা করেছি, টিম কম্বিনেশনের কারণে কেউ স্কোয়াডে না থাকলেও, প্রস্তুতির স্বার্থে তাকে রাখা হয় দলের সঙ্গে। এটাও তেমনই একটা সিদ্ধান্ত।’ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টিটোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি সোমবার, পরের দুটি ম্যাচ বুধবার ও শুক্রবার।

এদিকে সবশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টিটোয়েন্টি দলে ছিলেন সৌম্য। কিন্তু ভিসা জটিলতায় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতেই পারেননি, খেলার সুযোগ পাওয়া তো দূরের কথা। এবার যখন তিনি দলেই ঠাঁই পেলেন না, প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, না খেলেই কেন বাদ পড়লেন তিনি। দল ঘোষণার পরদিন সেই প্রশ্নের উত্তর শোনান প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে লিটন চোটে পড়ায় স্ট্যান্ডবাই থেকে সৌম্যের সুযোগ হয়েছিল দলে। এখন লিটন ফিরেছে চোট কাটিয়ে, তাই সৌম্য নেই। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’

প্রতিপক্ষ বিবেচনা নিয়ে বা চোটের কারণে কখনও কখনও জুটিতে সাময়িক পরিবর্তন হয়েছে কয়েকটি ম্যাচে। তখন কখনও অধিনায়ক লিটন দাস বা সাইফ হাসান নেমেছেন ইনিংস শুরু করতে। পারভেজ ও তানজিদ ওপেন করলে তিনচারে লিটন ও সাইফ তৈরিই আছে। কোনো কারণে সাইফ ওপেন করলেও তিনে আছেন লিটন। বিকল্প হিসেবে সৌম্যর প্রয়োজন তাই অনুভব করেননি নির্বাচকরা। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের টিটোয়েন্টি দলে ফেরার অপেক্ষা তাই দীর্ঘ হচ্ছে আরও। এই সংস্করণে তার পারফরম্যান্সও অবশ্য খুবই বিবর্ণ। ৮৭টি আন্তর্জাতিক টিটোয়েন্টি খেলেও কখনও ধারাবাহিকত হতে পারেননি সেভাবে। টপ অর্ডারে (১ থেকে ৩ নম্বর) ৭১ ইনিংস ব্যাট করে তার রান মোটে ১ হাজার ২৯১। টপ অর্ডারে অন্তত ৭০ ইনিংস ব্যট করা ব্যাটারদের মধ্যে তার রানই ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে কম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুল হকি লিগে হাতে খড়ি ও আলকরন ম্যাচ ড্র
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় ক্রিকেট লিগ আজ থেকে শুরু