চলতি মৌসুমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, ভালো ফলন এবং উপযুক্ত দাম পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝলক।
উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পদুয়া, শিলক, সরফভাটা, কোদালা, পোমরা, বেতাগী, পৌরসভার ঘাটচেক, মুরাদনগর, পারুয়া, দক্ষিণ রাজানগর, ইসলামপুর, রাজানগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন সবজি আবাদ হয়েছে। কিছু কৃষককে প্রণোদনা বীজও দেয়া হয়েছিল। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে বেশ ভালোই আবাদ হয়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজির। আবাদকৃত সবজি উপজেলার চাহিদা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম শহরসহ আশেপাশের উপজেলায়। ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।
পদুয়া ইউনিয়নের হরিহর গ্রামে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠজুড়ে সবজি আবাদ হয়েছে। এমনকি মাঠ ছাড়িয়ে এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনা থেকে ছাদপর্যন্ত নানা সবজির আবাদে ভরপুর। এরমধ্যে ছাদে বস্তায় আদা এবং চালকুমড়া চাষ করেছেন কৃষক রিপন দাশ গুপ্ত, রুবেল বড়ুয়া করেছেন পলিসেডে গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড মরিচ, শসা ও মিষ্টিকুমড়া, শিপন বড়ুয়া হাইব্রিড মরিচ, দৌলত শাহ হাইব্রিড মরিচ ক্ষেত, আবুল হাসেম বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি চাষ করেছেন।
পদুয়ায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পল্লবী চক্রবর্তী জানান, পদুয়ায় ৯০% মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে। তারা একের পর সবজি আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের আবাদে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহ প্রদান এবং নিয়মিত মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয় বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, রাঙ্গুনিয়ার কর্ণফুলী, ইছামতী নদীর চর, বিভিন্ন খালের পাড়ে এবং উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নজুড়ে ভালোই সবজি আবাদ হয়। প্রায় সারাবছর ধরেই সবজি আবাদ হয় এই উপজেলায়। তাই সবজিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই উপজেলার আবাদকৃত সবজি চলে যায় চট্টগ্রামসহ আশেপাশের জেলাগুলোতেও। সবধরনের আবাদে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে প্রতিনিয়ত কৃষকদের পাশে থাকেন বলে জানান তিনি।












