কেঁচো দিয়ে তৈরি করছেন সার। সেই সার নিজের কৃষি খামারে ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করছেন স্থানীয় কৃষকদের। প্রতি কেজি সারের দাম ২০ টাকা। কৃষকদের মাঝেও রয়েছে যথেষ্ট চাহিদা। স্বল্প পুঁজিতে কেঁচো দিয়ে সার তৈরি করে সফলতার দেখা পেয়েছেন রাউজান পৌরসভার শরীফ পাড়ার কৃষক ছগির আহমদ। এক বছর আগে মাত্র এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করে কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ প্রকল্পটি গড়ে তুলেছেন তিনি। কৃষি বিভাগ ছগিরকে প্রথমে ৬ কেজি কেঁচো সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছেন। সরবরাহ দেয়া প্রতি কেজি কেঁচোর দাম ছিল দেড় হাজার টাকা করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র দুই শতক জায়গার ওপর তৈরি করা হয়েছে খামারটি। টিনসেট ছাউনির ভেতর সার তৈরিতে আছে ২ মিটার লম্বা, ১ মিটার চওড়া ইটের তৈরি চারটি চৌবাচ্চা। পাশে আছে কাঁচা টয়লেটে ব্যবহার করা হয়–এমন পাঁচ সাতটি ইট সিমেন্টে তৈরি করা রিং। এসব রিং ও চৌবাচ্চা সমূহ ভর্তি গরুর গোবরে। স্থানীয় কৃষক আবদুস শুক্কুর বলেছেন, কেঁচো থেকে উৎপাদিত জৈব সার মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে দেয়। কৃষকরা এই সার ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেছেন, চৌবাচ্চা ও রিংয়ের গভীরতা এক মিটার। গোবরের নিচে থাকে কেঁচো। কেঁচোগুলোর খাবার এই গোবর। আর এই খাবার খেয়ে কেঁচো যে মল ত্যাগ করে সেই মলের সাথে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। আর সেই মল প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমেই তৈরি করা হয় জৈব সার। তিনি জানান, এই প্রক্রিয়ায় জৈব সার উৎপাদন অত্যন্ত সহজ। উপকরণ বলতে লাগে গোবর, কেঁচো ও অল্প পুঁজি।
৬ কেজি অস্ট্রেলিয়ান লাল কেঁচো ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে সহায়তা দেয়া শরীফ পাড়ায় প্রকল্পটিকে মূলত বলা হয়ে থাকে ‘ভার্মি কম্পোস্ট’ বা কেঁচো সারের প্রকল্প। এটি ছগির আহমদের হাত দিয়ে আরম্ভ করা হয়েছে। চলমান প্রকল্পটি দেখে এলাকার কৃষক এতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
উদ্যোক্তা ছগির আহমদ বলেছেন, গত এক বছরে তার খামার থেকে কেজি ২০ টাকায় করে প্রায় চার টন জৈব সার বিক্রি করেছেন। কৃষকদের মাঝে রয়েছে প্রচুর চাহিদা।












