নগরীর পতেঙ্গার কাঠগড়ে হিন্দুপাড়া শ্মশান, শিব ও কালী মন্দির পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব চারদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সম্পন্ন হয়েছে। ৩য় দিবসে মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাধন নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মসম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত। তিনি বলেন, পূজা হলো পূর্ণের জাগরণ। দৈবশক্তিকে জাগিয়ে আত্মার উদ্বোধনই পূজার অঙ্গীকার। নিজের অহমিকা বিসর্জন দেয়া হলো শ্যামাপূজার মূলশিক্ষা। পূজার পাশাপাশি ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষ সৌহার্দ্য–ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ধর্মতত্ত্ববিদ অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফ শাহীন কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অঞ্জন দাশ, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শিপুল কুমার দে, পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মনোজ কান্তি সরকার, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন রিমন মুহুরী, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ–স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক লায়ন সম্পদ দে, বাগীশিক চট্টগ্রাম মহানগর সংসদের সহ–সভাপতি উত্তম শীল, পতেঙ্গা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজন শীল, কোতোয়ালী থানা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুজন ভট্টাচার্য্য, হৃষিকেশ সাহা, সোমা রানী দাশ, সবুজ চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী। পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিত চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শ্মশান কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসবের প্রধান সমন্বয়ক লিটন চৌধুরী। সমাপনী দিনে গীতাপাঠ পরিবেশন করেন বিশিষ্ট গীতা সুধাকর প্রদর্শন দেবনাথ। এছাড়াও চারদিনব্যাপী অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল–চণ্ডীপাঠ, ভক্তি সঙ্গীতাঞ্জলি, মায়ের পূজা, সন্ধ্যারতি, সমবেত গীতাপাঠ, নৃত্যনাট্য ‘রণরঙ্গীনি’, প্রসাদ আস্বাদন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












