উন্মুক্ত হলো রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, পর্যটকের ভিড়

রাঙামাটি প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

প্রায় ৩ মাস পানিতে ডুবে থাকার পর উন্মুক্ত হয়েছে রাঙামাটির পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতুটি। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সেতুটি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বেড়েছে পর্যটকের ভিড়।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছর কাপ্তাই লেকের পানি বাড়লে সেতুটি পানিতে ডুবে যায়। কখনো ১ মাস আবার কখনো ২ মাস মতো ডুবে থাকে। তবে চলতি বছরে হ্রদের পানি বেড়ে গিয়ে ৪ ফুট পর্যন্ত ডুবে ছিল সেতুটি। পরে ধীরে ধীরে পানি কমতে কমতে ২৩ অক্টোবর সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে যায়। সেতুটি মেরামত ও রঙ করে শুক্রবার থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

ঝুলন্ত সেতুর টিকিট বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, সেতুটি উন্মুক্ত হওয়ায় আজকে (শুক্রবার) সারাদিন ব্যাপক পর্যটক এসেছে। ভালো টিকিট বিক্রি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে আশা করছি।

পর্যটন বোটঘাটের লাইনম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় পর্যটক তেমন আসতো না। তবে আজকে থেকে উন্মুক্ত হওয়া অনেক পর্যটকের এসেছে। আমাদের আজকে প্রায় ২০২৫টি বোট ভাড়া হয়েছে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সেলিম আহমেদ বলেন, রাঙামাটি এসে যদি ঝুলন্ত সেতুটি দেখে না যাইতাতো হয় না। আমি দেখেছি সেতুটি পানিতে ডুবে আছে। কিন্তু আজকে এসে দেখলাম, পানি নেমে গেছে আর সেতুটির সৌন্দর্য ভেসে উঠেছে। রাঙামাটি মানে হ্রদ, পাহাড়ের শহর। এখানের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যযে কাউকে মুগ্ধ করবে।

রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, প্রায় তিন মাস পানিতে সেতুটি ডুবে থাকার পর বৃহস্পতিবার সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে গেছে। শুক্রবার থেকে পর্যটকদের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে এক হাজারেরও বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। আশা করছি সামনের যে পর্যটন মৌসুম রয়েছে, সেই সময় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ জুলাই থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার কারণে হ্রদের পানিতে ডুবে যায় পর্যটন কেন্দ্রের ঝুলন্ত সেতুটি। ৮৬ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঝুলন্ত সেতুটি ভেসে উঠে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিপন্নতার মাঝেও ২৬ প্রজাতির সাপের অস্তিত্বের সন্ধান
পরবর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে দুই কিশোরকে মিয়ানমারে পাচার