প্রায় ৩ মাস পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠল ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত রাঙামাটির পর্যটন ঝুলন্ত সেতু। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটির পাটাতনের ওপর থেকে পানি সম্পূর্ণ নেমে গেছে। যদিও সেতুর পানি নামলেও এখনো পাটাতনের তলায় ছুঁই ছুঁই করছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনের ওপর থেকে সম্পূর্ণ পানি নেমে গেছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা শেষে রঙ করা হবে সেতুর বিভিন্ন স্থানে। তবে এবার সেতুতে প্রবেশের টিকেটের মূল্য বাড়ানোর চিন্তা করছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকায় টিকেট বিক্রির পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। এ সময় বেশকিছু পর্যটককে দেখা যায় ঝুলন্ত সেতুতে ভ্রমণ করতে। কয়েকজন পর্যটক জানান, তারা অনেকেই জানতেন না ঝুলন্ত সেতুটি এতোদিন কাপ্তাই হ্রদের পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এখানে এসে জানলেন আজ (গতকাল) সকালেই সেতুর ওপর থেকে পানি নেমে গিয়েছে।
পর্যটন ঝুলন্ত সেতুর টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. সোহেল জানান, প্রায় ৩ মাস পর সেতুর ওপর থেকে পানি নেমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। শুক্রবার (আজ) থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙামাটি জোনের পরিদর্শক মো. ইমাম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর রাঙামাটির সিম্বল হিসেবে পরিচিত ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি নেমে এসেছে। ইতোমধ্যেই পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে আগমন শুরু করেছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার কারণে ডুবে যায় পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি। দীর্ঘ ২ মাস ২৫ দিন (৮৬ দিন) পর ঝুলন্ত সেতুটি ভেসে উঠল। অন্যান্য বছরে দুই–একবার সেতুটি পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও এবারই টানা প্রায় ৩ মাসের মতো হ্রদের পানিতে নিমজ্জিত ছিল ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’।












