‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার ৯ম বারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে চট্টগ্রামে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রাম এবং ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে জামালখান প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।
পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি মুহাম্মদ মুসা খানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব প্রধান আবু মোশারফ রাসেলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, নারীনেত্রী সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মিটুল দাস গুপ্ত, রোটারিয়ান এস এম আজিজ, মো. আলমগীর, লায়লা ইয়াসমিন, জিনাত আরা বেগম, নজরুল ইসলাম মান্না, নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিক কমল চক্রবর্তী, নাসির উদ্দিন অনিক, মো. ফোরকান, মোহাম্মদ জানে আলম, মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, মাজেদ ভাষানী, আরফিন সুমন, আমজাদুল হক আয়াজ, মো. সালমান রশীদ, সমাজকর্মী, মুজিব উল্লাহ তুষার, ওসমান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হলে সড়কের সাথে জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারকে সম্মিলিতভাবে কাজ কতে হবে। সড়কে দুর্ঘটনার জন্য চালক ও হেলপার একা দায়ী নয়। এর সাথে যাত্রী, সড়কের অবকাঠামো, ফুটপাত দখল ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। আইন প্রয়োগে ক্ষমতাসীন দল ও বড়লোকদের প্রতি আইনের আওতায় আনতে অনীহা ও বিমাতাসুলভ আচরন আইন মানতে সর্বসাধারণের অনাগ্রহী দায়ী।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম যানজটের নগরীতে পরিণত হলেও বিআরটিএ ও সিএমপির কোনো মাথাব্যথা নেই। সড়কে প্রতিদিন শুধু চট্টগ্রামে বিপুল প্রাণহাণি ঘটলেও কারো কোনো উদ্বেগ আছে? সে রকম দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। যাত্রীদেরকে ট্রাফিক আইন কানুন জানাতে হবে। একই সাথে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মোটরসাইকেলের চালকদের হেলমেট পরা নিশ্চিত ও আইনের কঠোর প্রতিপালনের বিষয়ে আরও কঠোর হবার বিকল্প নেই।
সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো এবং মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার না করা। নিরাপদ বা নিয়ন্ত্রিত গতিই পারে সড়কে চলাচলরত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সেইসঙ্গে সঠিক ও মানসম্মত হেলমেটের ব্যবহার মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর পথ চলা নিরাপদ করতে পারে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।