নিশ্চিত জয়ের ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। শেষ ওভারে ৯ রান। এমন পরিস্থিতিতেও কেউ ম্যাচ হেরে যায়! তাও শেষ ওভারে প্রথম চার বলে টানা চারটি উইকেট হারিয়ে! শেষ মুহূর্তে চাপের সামনে ভেঙে পড়ার যে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল, এটাই তার প্রমাণ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরে গেলো ৭ রানের ব্যবধানে। এমন ম্যাচেও কিভাবে হারতে হলো? যেখানে নিগার সুলতানা জ্যোতি নিজেও ব্যাট করছিলেন ৭৭ রান নিয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি বলেন, ‘শুরু থেকেই ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি, কিন্তু একজন ব্যাটার রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে যাওয়ায় গতি হারাই। এরপর গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কয়েকটি উইকেট পড়ে যায়। এর আগেও আমরা এভাবে তিনটি ম্যাচ হেরেছি, যা সত্যিই খুব কষ্টের। কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা আমাদের পরিকল্পনা থেকে সরে যাচ্ছি।’ বোলার স্বর্ণা আক্তারের প্রশংসা করে জ্যোতি বলেন, ‘স্বর্ণা পঞ্চম/ষষ্ঠ বোলার হিসেবে দলে এসেছে এবং দারুণ বোলিং করেছে।’ তবে, শ্রীলঙ্কার রান এত হতো না, যদি মিস ফিল্ডিং না হতো। এ নিয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘ধরার মতো ক্যাচ ধরতেই হবে। আমাদের ফিল্ডিং মোটামুটি ভালো, কিন্তু আমরা যেসব ক্যাচ ফেলি, সেগুলো মানসিক ব্যাপার।
পরের ম্যাচে এগুলো ঠিক করতে চাই।’ ব্যাটিং কৌশল নিয়ে নিগার বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতে আমরা দ্রুত উইকেট হারাতাম, তাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শুরুতে উইকেট না হারিয়ে মাঝের ওভারে ইনিংস গড়ে তুলে শেষ ১০–১৫ ওভারে বড় শট খেলব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা শেষের আগের ওভারে শেষ করলেই ভালো হতো; কিন্তু আমরা ওখানেই মাত্র ৩ রান নিয়ে ম্যাচটা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে চেয়েছিলাম যেভাবে পুরো সময়টা খেলেছি। যদি ১১০% দিই, তাহলে ভালো ম্যাচ হবে।’