শেষ হলো ভোটকেন্দ্রের ওপর দাবি-আপত্তির শুনানি, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ কাল

চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ at ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের খসড়া ভোটকেন্দ্রের ওপর আসা দাবিআপত্তি নিষ্পত্তির কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে তালিকাভুক্তির কাজ। আগামীকাল ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে সারাদেশের মত চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছিল চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটগ্রহণের ১৯৫৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ১২৬৫৬টি ভোটকক্ষ (বুথ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি সংসদীয় আসনের ৭১টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি দাখিল করেছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। গত ৯ অক্টোবর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একটানা চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদের কার্যালয়ে ৭১টি ভোট কেন্দ্রের উপর জমা পড়া আপত্তির শুনানি করা হয়।

সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ আজাদীকে জানান, আপত্তিকৃত ৭১টি ভোটকেন্দ্রের ওপর আমরা শুনানি করেছি। যারা আপত্তি দাখিল করেছেন তাদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের দাবি যৌক্তিক ছিল। তাই আমরা কোনোটাই বহাল বা পরিবর্তন করিনি। আমরা আবার সরেজমিনে ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে যাচাইবাছাই করে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত দেবো। আগামী ২০ অক্টোবর মধ্যে আমরা শেষ করবো। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় চট্টগ্রামে এবার ভোটকেন্দ্র কমেছে ৬৪টি এবং ভোটকক্ষের (বুথের সংখ্যা) সংখ্যা কমেছে ১০৭৬টি।

চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের খসড়া তালিকায় মোট ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৫৯টি এবং ভোটকক্ষ (বুথ) নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৬৫৬টি। এরমধ্যে পুরুষ বুথের সংখ্যা ৫৭৬৪টি এবং মহিলা বুথের সংখ্যা ৬৮৯২টি।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২০২৩টি; আর ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ১৩৭৩২টি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে সংসদ নির্বাচন ও ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে ইসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওরা ফিরল কফিনবন্দি হয়ে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রান্তিক মানুষ ও দরিদ্র শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে