গত বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হলো। যারা পরীক্ষা দিয়ে ভালোভাবে পাশ করেছে তাদের জন্য আন্তরিক শুভকামনা। কিন্তু যারা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি তাদের জন্য বলতে চাই, একটা পরীক্ষার ফলাফলের ওপর জীবনের সকল ফলাফল নির্ভর করে না। ধৈর্য ধরতে হবে, সাধনা করতে হবে এবং মানসিক ভাবে অকৃতকার্যতাকে গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যাবার পাথেয় খুঁজতে হবে। পৃথিবীতে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা ভালো ফলাফল করেও জীবনে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। আবার অনেকে কিছুটা মন্দ ফলাফল করেও জীবনে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পেরেছে। পৃথিবীতে সকলে যেমন ধনী নয় আবার সকলে সমান মেধাবী নয়। কেউ ডাক্তার কেউ কেউ ইঞ্জিনিয়ার যেমন আছে তেমন আছে শিক্ষক, দোকানদার। পুঁথিগত শিক্ষা একটা মানুষকে কয়েকটা সার্টিফিকেট দিতে পারে কিন্তু সঠিক শিক্ষা দেয় পরিবার। মানবিক মূল্যবোধ, বিবেকবোধ, সভ্যতা,ভদ্রতা, নিরহংকার এসবই একটা মানুষকে সঠিক মানুষে পরিণত করে। কাউকে ছোট করে হেয় করে কেউ কখনও বড় হতে পারে না। সত্যিকার শিক্ষা কখনও কোন মানুষকে অহংকারী হতে শেখায় না।
তাই সবার আগে মানুষ হতে হবে। পরীক্ষার ফলাফলের উপর কখনও মানুষের মনুষ্যত্বকে বিচার করা যায় না এবং জীবনের সকল সফলতার পরিমাপ করা যায় না। নিজেকে ভালোবাসতে হবে নিজেকে ভালবাসলে জীবনের যে কোন কঠিন পথ পরিশ্রমের সাথে পাড়ি দেয়া যাবে। এবং সেই সাথে আমি মনে করি, সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টি মানুষকে ভালোবাসতে হবে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে যে ভালোবাসতে পারে না সে কখনও সৃষ্টিকর্তাকেও ভালোবাসতে পারে না। মানুষ হয়ে জন্ম নিলে মনুষ্যত্ব বোধে মানুষ হবার দীক্ষা নিতে হবে। সেটা হতে হবে পরিবার থেকে আর জীবনে সফল হতে হলে, সঠিক মানুষ হতে চাইলে থাকতে হবে অপরিসীম ধৈর্য এবং সাধনা। জীবনে চরাই, উৎরাই থাকবে। সেটা মেনে নিয়ে অসীম ধৈর্যের সাথে পথচলাই হলো মানব জীবনের সফলতার উদাহরণ।