শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক সমাজ জাতির বিবেক। তাদের হাতেই গড়ে ওঠে আগামী প্রজন্মের নাগরিক। আর সেসব শিক্ষকদের ওপর হামলা, লাঠিচার্জের ঘটনা আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য এক কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত। শিক্ষক যখন রাস্তায় নামতে বাধ্য হন, সেটা তাঁর ব্যর্থতা নয়; রাষ্ট্রেরই ব্যর্থতা। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দাবী–দাওয়া নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে।
একজন শিক্ষক লাঠির আঘাতে আহত হওয়া মানে সেই দেশের শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা আহত। অধিকার ও ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। কিন্তু তাদের ওপর বলপ্রয়োগ দেশের গণতান্ত্রিক চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা আমাদের সন্তানদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে, তাদের প্রতি এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষকদের প্রতি সহিংসতা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার পরিপন্থী।
সরকার ও প্রশাসনের উচিত শিক্ষক সমাজের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া এবং তাদের দাবি শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। শিক্ষক জাতির নির্মাতা তাদের সম্মান রক্ষা করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।
সুমাইয়া তাবাসসুম
আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসা, ফেনী।