চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ভয়াবহ আগুনে জ্বলে পুড়ে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেডের কারখানাটি দৃশ্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সর্বশেষ গতকাল শনিবার তৃতীয় দিন দুপুর ২টার দিকে ৯ম তলার এই ভবনটির আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে তাদের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করে। এর মধ্যদিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল তৃতীয় দিনে তাদের অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেঙটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আবার ভবনের দ্বিতীয় ও তলায় আগুন জ্বলে উঠে। তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আবার তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন গতকাল রাতে আজাদীকে জানান, সর্বশেষ আজ (গতকাল) শুক্রবার দুপুর ২টায় আমরা ওই ভবনের আগুন নির্বাপণ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেছি। তারপরও আমাদের একটি রেখে এসেছি ওই স্থানে। ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ম তলার এই ভবনটির ৭ম তলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। এটা তদন্ত করে পারে জানা যাবে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। তখন আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যাবে।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি এবং বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর দুটি ইউনিট মিলিয়ে মোট ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরাও কাজ করেন আগুন নিয়ন্ত্রণে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস রোবটও ব্যবহার করেছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাইপ দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, আগুনে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেঙটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানি নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা প্রায় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।