ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে মিরপুরে কালো উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ক্রমাগত হার থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খুজছে বাংলাদেশ। সে রাস্তা খোজার পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেই গত বছর ডিসেম্বরে ওয়ানডে সিরিজে ৩০ তে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবং সেখান থেকেই আসলে শনির দশা শুরু। তারপর আর সে খারাপ সময় কাটেনি। টানা ৪ সিরিজ হার এবং ১২ ম্যাচের ১১টিতে পরাজিত হওয়া। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজে চরমভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে পারা কঠিন। অনেকের মতে একমাত্র উইকেটের সহায়তায়ই সেটা সম্ভব। না হলে বাংলাদেশের সামপ্রতিক যে বাজে ফর্ম, ব্যাটিংয়ের যে জীর্ণশীর্ণ অবস্থা, তা দিয়ে ক্যারিবীয়দের হারানো কঠিন হবে। একমাত্র শেরে বাংলার সেই ‘টিপিক্যাল’ পিচে খেলা হলেই হয়তো ক্যারিবীয়দের সাথে জয়ের দেখা মিলতে পারে। সে ভাবনা থেকেই হয়তো মিরপুরের উইকেটকে কালো করা হয়েছে।

মিরপুরের নতুন কিউরেটর টনি হেমিং এসে শেরে বাংলার উইকেট ও আউটফিল্ডকে অনেক উন্নত করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে উইকেট মাত্র কদিনে স্লো ও লো করা কি সম্ভব? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানালেন উইকেট আগের মত হবে না। ওরকম উইকেট হবে না বলেই মনে হয়। আগের তুলনায় অনেক ভালো হবে। ওয়ার্ল্ডকাপ খেলতে যাবার আগে আমাদের নারী দল শেরে বাংলার নতুন করে পরিচর্যা করা উইকেটে প্র্যাকটিস করেছে। আমি সে সময় উপস্থিত থেকে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে উইকেট আগের চেয়ে বেশ ভালো। গতি ও বাউন্স স্বাভাবিক। তবে একটু টার্ন থাকতে পারে। কিন্তু পেস ও বাউন্স ভালো থাকবে। আদর্শ ওয়ানডে পিচ বলতে যা বোঝায়, এবার তা দেখা যাবে। উইকেট সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে।

নাজমুল আবেদিন ফাহিম যাই বলুন না কেন, শেরে বাংলার পিচের চরিত্র সম্ভবত আবার আগের মতই হতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবার সেই চিরচেনা শেরে বাংলার পিচেরই দেখা মিলবে। মাঝে পিচের রং খানিক বাদামি হতে শুরু করেছিল। কিন্তু গত কদিনে (বিশেষ করে আফগানদের কাছে নাকাল হওয়ার পর) তার রং আবার কালচে দেখা যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, শেরে বাংলার উইকেট আবার আগের মতই স্লথ, মন্থর ও খানিক স্পিন সহায়ক থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলেল হেড কোচ ফিল সিমন্স বলেন আমার চোখে উইকেট মিরপুরের চিরচেনা উইকেটের মতই দেখাচ্ছে। এতে সাধারণত কিছু টার্ন থাকে। হয়তো এবারও তাই থাকবে। সত্যিই যদি তাই থাকে, উইকেটের চরিত্র ও আচরণ যদি না পাল্টায়, তাহলে আর গামিনিকে দোষারোপ করে কী লাভ হলো? এ লঙ্কানকে বদলে টনি হেমিংকে বেশি টাকা দিয়ে আনা হলোই বা কেন? আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে স্পিন অ্যাটাক, সেটাকেইবা দুর্বল ভাবার সুযোগ নেই। সবচেয়ে বড় কথ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের লম্বা স্পিনারদের সাথে স্পিনিং ট্র্যাকে মিরাজ, রিশাদ আর তানভীররা কি কুলিয়ে উঠতে পারবেন কিনা সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। আজ শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। আগামী ২১ আর ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ। ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রিকেটারদের সামাজিক মাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ সিমন্সের
পরবর্তী নিবন্ধ‘ওরা আসবে’র চতুর্থ মঞ্চায়ন আজ