বাংলাদেশের নারীরা সক্ষম, বুঝতে হবে নিজের শক্তিটা কোথায়

এডভোকেট আক্তারুণ নেসা বেগম | শুক্রবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ at ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ

অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে কিন্তু, থেমে না যাওয়াই হচ্ছে প্রাণশক্তি, মানুষের শক্তিকে (হিউম্যান স্প্রীরিট) কোন খারাপ শক্তি কখনো হারাতে পারে না। গৃহস্থালী সহিংসতার ঘটনায় নারীদের সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশের নারী সমাজ বিশ্বের মানচিত্রে একটি নিজস্ব স্থান করে নিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, অর্জিত বাস্তব অভিজ্ঞতা, সহনশীলতা, ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা গৃহের অভ্যন্তরে ও গৃহের বাইরে কঠোর পরিশ্রম ও অবিচলিত অধ্যবসার মাধ্যমে অর্থপূর্ণ জীবন মানে নিজের পদচিহ্ন রেখে যাওয়া, যাতে কেবল সমকালীন নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকটও নারীর নিজের রেখে যাওয়া পদচিহ্ন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হতে পারে।

সমগ্র বাংলাদেশে নারীদের এগিয়ে নিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। চট্টগ্রামের ‘এইউডব্লিউ’ অর্থাৎ চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান উল্লেখযোগ্য। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের আচার্য চেরী ব্লেয়ার এবং উপাচার্য রুবানা হক ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণে ফলপ্রসূতা পাওয়ার লক্ষ্যে সীমাহীন প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে নারীরা কঠোর পরিশ্রমী হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সেক্টরে বেতনভাতা এবং পারিশ্রমিক আদায়ে নির্বিকার ও পিছিয়ে। এক্ষেত্রে যেমন প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষা, তেমনি প্রয়োজন ধর্মীয় শিক্ষা এবং পারিপার্শ্বিক আচারআচরণের শিক্ষা, এক কথায় নারীগণকে সহনশীল ও মমতাময়ী এবং অধিক ধৈর্যশীলের গুণ অর্জন করা অত্যাবশ্যক।

প্রত্যেক ধর্মীয় গুণাগুণ অর্জন অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের ধর্মীয় গুণাগুণ রপ্ত করা একান্ত প্রয়োজন। নারীগণকেও যার যার ধর্মীয় নিয়মাবলী বা আচারআচরণ অনুসরণ করে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টা চালালে জীবন সংগ্রামে সফলতা আনয়ন সম্ভব। নারী সমাজকে অধিক মাত্রায় সচেতন হওয়া জরুরি। নারীকে সহনশীলতা ও ধৈর্যের গুণে গুণান্বিত হতে হয়। বাংলাদেশের নারীরা ‘ঘড়হঠরড়ষবহপব’ নীতির ধ্বজা ধরে এগিয়ে যাবে সম্মুখ ভাগে। ইহাই বাংলাদেশের নারী সমাজের বর্তমান আর্থিক ও প্রচলিত সমাজের প্রেক্ষাপটে ঐকান্তিক কাম্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়ি পাইন্দং ইউনিয়ন চৌধুরীপাড়া সড়কটি সংস্কার চাই
পরবর্তী নিবন্ধমৃত্যু এক অবধারিত সত্য