বৃষ্টি হলেও স্বস্তি ফিরেনি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপ নামে একটি কারখানায় লাগা আগুন গতকাল গভীর রাত ১টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দুপুর ২টার দিকে আগুন লাগার পর সন্ধ্যা থেকে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। একটানা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এই ভয়াবহ অগ্নি নির্বাপণের কাজে রাতে প্রায় অসহায় হয়ে পড়েন। রাতে হঠাৎ আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। আকাশে বিজলী চমকাতে থাকে। প্রকৃতিতে বৃষ্টির আভাস দেখা দেয়। তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শুধু আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে হয়তো আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিফাত ইসলাম জানান, অবশেষে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে হালকা হালকা বৃষ্টি পড়তে শুরু করলেও সেই বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেনি। ভারী বৃষ্টি হলে আগুন নির্বাপনে হয়তো সহায়ক হতো। এখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।

রাত সোয়া ৮টার দিকে পুরো ভবনেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ভবনের আশপাশের কয়েকশ মিটার দূর থেকেও আগুনের তাপদাহ অনুভূত হচ্ছে। আগুনে দিশেহারা ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ক্রমেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। সময় যত গড়াচ্ছে, আগুনের লেলিহান শিখা তত উঁচু হচ্ছে। আশপাশের এলাকা তাপ আর ধোঁয়ায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে। আগুনের সামনে অসহায় ফায়ার সার্ভিস, আর চারপাশের মানুষ শুধু এক পশলা বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে বারবার তাকাচ্ছিলেন। যদি একটু বৃষ্টি নামে। কিন্তু সেই বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেনি। ভারী বৃষ্টি না আসায় আগুনের সেই ভয়াবহতা কমেনি।

আগুন লাগা কারখানার সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, সাত তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় তোয়ালে কারখানা। তৃতীয় থেকে সপ্তমতলা পর্যন্ত মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তৈরির কারখানা। যেটির নাম জি ওয়ান মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ। চীনা মালিকানাধীন কারখানাটি।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ভবনের পাঁচ, ছয় ও সাত তলায় প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে নিচের তলাগুলোতেও। সব ইউনিট একযোগে কাজ করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম বলেন, রিজার্ভ ট্যাংক থেকে পানি এনে ছিটাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী। কিন্তু আগুন যেন আরও ছড়িয়ে পড়ছে। এখন সবাই শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে যদি একটু ভারী বৃষ্টি নামে।

অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়া কারখানায় হাসপাতালে ব্যবহার করার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি হতো। আগুনের কারণ সম্পর্কে কিছুই এখনও জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে জাতীয় জুলাই সনদ
পরবর্তী নিবন্ধইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন