জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সুযোগ পরেও থাকছে : আলী রীয়াজ

| শুক্রবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্র সংস্কারের সুপারিশ ও অঙ্গীকারনামা সম্বলিত জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের পর তা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদেই সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে বলেছেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকেও এই সময়ের মধ্যেই সুনির্দিষ্ট পদক্ষপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সনদের বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কয়েকটি দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার ঘোষণার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন তিনি আশা প্রকাশ করেন, উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে সংলাপে অংশ নেওয়া সব দল। রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আসার আহ্বান জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আগামীকালের (আজ) এই অনুষ্ঠান যেন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে, একইসঙ্গে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে সামনে আরও অনেক পথ আছে। খবর বিডিনিউজের।

আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। এদিন কোনো দল জুলাই সনদে সই না করলে পরবর্তী সময়ে তারা স্বাক্ষর করতে পারবে কি না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে আলী রীয়াজ বলেন, শুক্রবার সব দলের স্বাক্ষর নিতে পারলে ভালো। তবে যদি কোনো দল পরবর্তীতে স্বাক্ষরের কথা বলেতারা তো সনদ প্রক্রিয়ার অংশীদার। শরিক হিসেবে তারা সেটা করতে পারবে। তবে কমিশন আশা করে, সকলে একসঙ্গে বসে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাক্ষর করবে।

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব রকমের প্রস্তুতি শেষ হওয়ার কথা তুলে ধরে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য হওয়া এবং তার ভিত্তিতে সনদ তৈরির বিষয়টি তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, সেই সনদই শুক্রবার স্বাক্ষর হবে। বিভিন্ন রকমের মতভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা আশা করি, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, সেই দলগুলোর নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তারা সনদে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে আরেকটি পর্যায়ে আমরা অগ্রসর হতে পারবো।

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। আলী রীয়াজ বলেন, চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারের সুপারিশ জমা দেওয়া হবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদকালে এটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদের (৩১ অক্টোবর) মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ একটি সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো। এটি বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বোত্তম প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের ৮ কলেজে শতভাগ পাস