রজনীর কপাট বন্ধ করে,
রাঙা ভোরের স্মিত হাসিতে রোজ
রচিত হয় নিখিলের পথ মাড়িয়ে ,
আলোর ফুল ফোটানোর রক্তিম কাব্য।
জামরুলের রসালো বুকে দু একটি ক্ষুধার্ত পাখির
উন্মত্ত উল্লাস কেড়ে নেয় তার সমস্ত জীবন রস।
পাখনা ছড়িয়ে উচ্ছ্বাসে উড়ে বেড়ানো
চাতকের শরীরে যখন বিঁধে নিষেধের
বিষমাখা পঞ্চবান, ব্যথাতুর হৃদয়ে তখন
বয়ে যায় নীলের স্রোতধারা।
পথের ধারে ফনীমনসার ঝোপের ভিতর
মুখ লুকিয়ে উদযাপন করে সে নীলের উৎসব।
জীবনের পায়ে জড়ানো অদৃশ্য বেড়ি,
তবুও খোঁড়াতে খোঁড়াতে সামনের দিকে
এগিয়ে যায় সেতারের বুকে বিষাদের
বজ্রনিনাদ তুলে, সমুদ্রের বুকে তরঙ্গের
গর্জনোচ্ছ্বোস সৃষ্টি করে অক্লেশে।
বেঁধে দেয়া পথও একদিন অতিক্রম করে
সপ্তর্ষি আলোকের পথে পৌঁছে যাওয়ার
স্বপ্ন বুনে জীবনের অলিন্দে খড়কুটো
কুড়ানো ক্লান্ত বিকেলের পরিযায়ী পাখি।