ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল প্রস্তুতের জন্য বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশন থেকে। প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নামের তালিকা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানোর জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছিল গত মাসের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে।
অনেক প্রতিষ্ঠান ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নামের তালিকা পাঠাতে না পারলেও ইতোমধ্যে সব প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তাদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খবর নিয়ে জানা যায়, সব প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চলে আসায় এখন উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা নিজ নিজ উপজেলা ও থানা ভিত্তিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তৈরি করছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের যার যার এলাকা ভিত্তিক সরকারি–আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা নামের তালিকা গুলো দেয়া হয়েছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির জন্য।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের জন্য মোট ৪৪ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি করা হবে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক প্রকাশিত খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকায় চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ১৯৫৯টি ভোটকেন্দ্র ও ১২৬৫৬টি ভোটকক্ষ (বুথ) নির্ধারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৯৫৯টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ১৯৫৯ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং ১২৬৫৬টি বুথের জন্য ১২৬৫৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ২৫৩১২জন পোলিং অফিসারসহ আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি করা হবে। সব মিলে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের জন্য মোট ৪৪ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরি করা হবে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ আজাদীকে বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ৬৪টি ভোটকেন্দ্র এবং ১০৭৬টি ভোট কক্ষ কমেছে।