চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে এগিয়ে রয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত শিক্ষার্থী সমপ্রীতি জোট। অপরদিকে, এজিএস (সহ–সাধারণ সম্পাদক) পদে এগিয়ে আছে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
গতকাল রাতে ঘোষিত ১২টি হল সংসদের ফলাফলে দেখা গেছে, সমপ্রীতি জোটের ভিপি পদপ্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং জিএস পদপ্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে, এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এগিয়ে রয়েছেন।
বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা শুরু হয় এবং একে একে ১২টি হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে রাত সাড়ে তিনটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অপর ২টি হল সংসদ ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। যার ফলে চূড়ান্ত ফলাফল সে সময় পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে উত্তেজনা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রাত একটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে কারচুপির মাধ্যমে হারানোর অভিযোগ করে ছাত্রদল। এ সময় তারা প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানান। পরে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ এসে সহ–উপাচার্যকে প্রকৌশল অনুষদ থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ভবনের ফটক থেকে বের করতেই আবার পথ আটকান ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা।
অপরদিকে বিডিনিউজ জানায়, চাকসু নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি হলে সারাদেশকে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। গতকাল রাত ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে চাকসুর ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রতিবাদ অবস্থানে এসব কথা বলেন তিনি।