যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেওয়ার সময় তার ভাষণ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিবিসি জানায়, সোমবার ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে কিছু সদস্যের প্রতিবাদে হট্টগোল দেখা দেয়। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। আবার কাগজে লিখে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও জানান। খবর বিডিনিউজের। ইসরায়েলের পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় সদস্য আয়মান ওদেহ এবং ওফার কাসিফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিহ্ন হাতে তুলে ধরেন। ট্রাম্পের ভাষণের মাঝে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়ে একটি কাগজও উঁচুতে তুলে ধরেছিলেন তারা। তাতে লেখা ছিল, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন।’
‘দ্য জেরুজালেম পোস্ট’ জানায়, আয়মান ওদেহ একজন আরব ইসরায়েলি। তিনি ইসরায়েলের হাদাশ অ্যালায়েন্সর সদস্য আর ওফার কাসিফ কট্টর–বাম রাজনীতিবিদ। তিনিও হাদাশ কোয়ালিশনের সদস্য।
নেসেটে তাদের প্রতিবাদের মুখে ট্রাম্প তার ভাষণ থামাতে বাধ্য হন। নেসেট স্পিকার আমির ওহানা হট্টগোল থামানোর জন্য আইনপ্রণেতাদের আহ্বান জানান এবং প্রতিবাদী সদস্যদেরকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন কর্মকর্তাদেরকে। এ সময় প্রতিবাদী দুই সদস্যকে পার্লামেন্ট অধিবেশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ওদেহকে সরিয়ে নেওয়ার সময় তার হাতে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা কাগজ ছিল। পরে ওদেহ এঙে এক পোস্টে লেখেন তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন। এটি একটি সোজাসাপ্টা দাবি। যে দাবিতে গোটা আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় একমত। ওদিকে, কাসিফও এঙে এক পোস্টে লেখেন, তারা ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ করেছেন। ইসরায়েলের সরকারের দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিবাদী এই সদস্যদের পার্লামেন্ট থেকে সরানোর পর ট্রাম্প ফের ভাষণ শুরুর আগে বলেন, ‘কাজটি বেশ দক্ষতার সঙ্গে হয়েছে।’