হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু

| সোমবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চব্বিশের জুলাইআগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১ এ গতকাল প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। এর আগে, গত বুধবার এই মামলার শেষ সাক্ষী (৫৪তম) তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা শেষ হলে আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়। খবর বাসসের।

ঐতিহাসিক এই মামলায় গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ অন্যান্য শহীদদের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া, স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানিতে অংশ নেন। এসময় অন্যান্য প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পলাতক শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন শুনানি পরিচালনা করছেন। আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১। একপর্যায়ে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুন আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। পরবর্তীতে এই মামলায় তিনি রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন।

এই মামলার বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুমখুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাইআগস্টে ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকায় আসছেন ড. জাকির নায়েক
পরবর্তী নিবন্ধনিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ মজুদ রাখায় লোহাগাড়ায় ১ ব্যক্তির কারাদণ্ড, ৬শ কেজি ব্যাগ জব্দ