শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হবে

নগরে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনে মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্বাস্থ্য আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। নগরের প্রতিটি অভিভাবককে অনুরোধ করছি, নির্ধারিত তারিখে শিশুদের টিকা দিতে নিয়ে আসুন। টাইফয়েড কেবল স্কুলপড়ুয়া নয়, স্কুলবহির্ভূত শিশুরও হতে পারে। তাই আমরা কমিউনিটি পর্যায়েও টিকাদান চালাব, যেন কোনো শিশু বাদ না যায়।

গতকাল রোববার নগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় চন্দনপুরার গুলজার বেগম মুসলিম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং সকাল ১১টায় প্রবর্তক মোড়ে আইয়ুব বাচ্চু চত্বরে সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের টিকাদানের মধ্য দিয়ে নগরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র। শাহাদাত বলেন, টাইফয়েড একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। অনেক সময় সাধারণ জ্বর ভেবে আমরা বুঝতে পারি না এটি টাইফয়েড। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটাতে পারে। প্রতিরোধই সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। অনেক অভিভাবক অজান্তে বারবার অ্যান্টিবায়োটিক পরিবর্তন করেন, যার ফলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। তাই এই টিকাদান কার্যক্রম অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

মেয়র জানান, স্কুল পর্যায়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ১,৫৪৬টি স্কুল ও ৭৮৩টি আউটরিচ সাইটে প্রায় ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩০১ শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৬৭ জন এবং স্কুলবহির্ভূত শিশু ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৪ জন।

মেয়র বলেন, প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকার এই টিকা আমরা বিনামূল্যে প্রদান করছি, যার মাধ্যমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৮ লাখের বেশি শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে। এটি চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো একটি বড় প্রতিরোধমূলক জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ। আমি ধন্যবাদ জানাই ‘নগরফুল’সহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে, যারা পথশিশুদের এই টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে। এই শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠাই আমাদের দায়িত্ব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, ডা. হোসনে আরা বেগম, ডা. গোলাম বাকী মাসুদ, ডা. মনিরুল ইসলাম রুবেল, ডা. সরোয়ার আলম, ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ডা. ইফতার জাহান আঁখি, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ও আবু সালেহ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ
পরবর্তী নিবন্ধসামনে কঠিন পরীক্ষা : ফখরুল