বিশ্বসমাদৃত ত্বরিকা–ই–মাইজভাণ্ডারীয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৩৭তম (২৬শে–আশ্বিন) ওরশ শরীফ মাইজভাণ্ডার শরীফের দরবার–ই গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর গাউসিয়া হক মন্জিলে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছে। ওরশ শরীফ উপলক্ষে দরবার শরীফসহ আশপাশের এলাকা ভক্ত–জায়েরীনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।
গতকাল শনিবার বাদ ফজর রওজা শরীফ গোসল ও গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে ওরশ শরীফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাত দশটায় কেন্দ্রীয় আলোচনা ও মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর প্র–প্রপৌত্র, গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন, আওলাদে রাসূল হযরত শাহ্সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
তিনি বলেন, মহান ২৬ আশ্বিন, বিশ্ব অলি শাহান শাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ, যার পবিত্র নাম মোবারক হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (ক.) নিজ দয়া গুণে নিজে পরিবর্তন করে জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী রেখেছিলেন, যাকে জগতের জন্য চেরাগ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং অসিয়ে গাউসুল আযম এই মহান হাস্তীকে খোশরোজ শরীফ পালনের অনুমতি প্রদান করে তার ব্যক্তিত্ব এবং স্বাতন্ত্রকে অনুমোদন করেছিলেন, যার আলোয় এই জগতবাসী আলোকিত হয়েছে, অগণিত আল্লাহর বান্দা হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) পবিত্র ত্বরিকার সামিয়ানার তলে সমবেত হতে পেরেছে। এই শোকরিয়া আদায়ের দিনে, বরকতময় দিনে হুজুর গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর কদমে সকলের হাজিরা কবুল করার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)। পবিত্র ওরশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এন্তেজামিয়া কমিটির পক্ষ থেকে দায়িত্বশীলরা সর্বাক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। এন্তেজামিয়া কমিটির পক্ষ থেকে দেশ–বিদেশ হতে আগত আশেক–ভক্ত ও জায়েরীনদের সুবিধার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড রুখতে সব সময় সতর্ক অবস্থানে ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দেশ–বিদেশ থেকে আগত হাজার হাজার ভক্ত অনুরক্তকে জেয়ারত করতে দেখা যায়। আগত আশেক–ভক্ত জায়েরীনরা নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, মিলাদ, দোয়া, মুনাজাতের মাধ্যমে নিজেদের মত করে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।