এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে অংশ নিতে হংকংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ৩৪ সদস্যের বাংলাদেশ কনটিনজেন্ট ঢাকা ত্যাগ করে। দলের ২৩ জন ফুটবলারসহ কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তারা একসঙ্গে রওনা হন। তাদের মধ্যে ফাহমিদুল হক খানিকটা নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট ধরতে সক্ষম হন। দেশে ফেরার পর তার পাসপোর্ট ভিসার জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল চীনা দূতাবাসে। যদিও দলের বাকি সদস্যদের ভিসা একদিন আগেই সম্পন্ন হয়। ফাহমিদুলের ভিসা প্রক্রিয়ায় সময় লেগে যায় কিছুটা বেশি। শুক্রবার ছুটির দিনেও বিশেষ ব্যবস্থায় চীনা দূতাবাস তার পাসপোর্ট হস্তান্তর করে। বাফুফে কর্মকর্তারা সকাল সাড়ে ১১টায় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুপুর ১২টার মধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন। ফলে তিনি শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট ধরতে পারেন। এদিকে দলের তিন ফুটবলার হামজা চৌধুরী (ইংল্যান্ড), সামিত সোম (কানাডা) ও জায়ান আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র) নিজ নিজ দেশের পাসপোর্টধারী হওয়ায় তাদের ভিসার প্রয়োজন হয়নি। দলের সবাই ব্যাংককে যাত্রাবিরতির পর হংকং সময় রাত ১০টার দিকে পৌঁছাবে এবং আজ শনিবার থেকেই অনুশীলন শুরু করবে। ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে মাঠে নামবেন জামাল ভূঁইয়ারা। এই ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না লাল–সবুজের দল।
গতকাল হংকং এর পথে রওনা হওয়ার আগে জামাল ভুইয়া বলে গেলেন, হাল ছাড়বেন না তারা। তবে লক্ষ্য পূরণে সবশেষ ম্যাচের মতো শেষ মুহূর্তে খেই হারানোর ধারা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। নিজেদেরকেই যেন মনে করিয়ে দিলেন তিনি। এই দলের একটা ইতিহাস আছে–আমরা শেষ মুহূর্তে গোল হজম করি। এই ম্যাচের আগে আমরা আলাপ করেছি। আমাদের পুরো ম্যাচে মনোযোগী থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনেও বলেছি, আমরা যদি জিততে চাই বা পয়েন্ট নিতে চাই তাহলে আমাদের পুরো ম্যাচে মনোযোগী থাকতে হবে। কিন্তু আমরা পারিনি। আমাদের হাতে তিন ম্যাচ আছে। তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। এক পয়েন্ট হারালেই আমাদের বিদায়। ঢাকার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানালেন জামাল। হংকংয়ের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ৩ পয়েন্ট পেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। এবার আমরা কিছু দিতে পারব। হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে সেরা একাদশে ছিলেন না জামাল। শোমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম, জায়ান আহমেদ–এই তিন প্রবাসীকেও বেঞ্চে রেখেছিলেন কোচ কাবরেরা। দ্বিতীয়ার্ধে এই চার প্রবাসী বদলি নামলে বাংলাদেশের খেলার গতি বাড়ে। শেষ দিকে শোমিতের গোলে সমতায়ও ফিরে দল। কিন্তু অন্তিম সময়ে ফের গোল হজম করে হারে বাংলাদেশ।
এই চার জনের শুরুর একাদশে না থাকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন কাবরেরা। দ্বিতীয়ার্ধের ভাবনায় তাদের বদলি নামানোর পরিকল্পনার কথা বলেন কোচ। হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি লেগে শুরুর একাদশে খেলার সুযোগ চান জামাল। তিনি বলেন আমি, শমিত, ফাহামিদুল, জায়ান যখন একসঙ্গে ওয়ার্ম–আপ শুরু করেছি, তখন ওদেরকে বলেছি আমরা যখন নামব, তখন ম্যাচের গতিপথ বদলাতে হবে। আমাদের চারজনের ইমপ্যাক্ট ভালো ছিল। চারজনই শুরুর একাদশে খেলতে চাই। আমি তো সব ম্যাচ খেলতে চাই, কিন্তু দিনশেষে কারা খেলবে এটা কোচের সিদ্ধান্ত।