এশিয়া সফরে দুর্দান্ত শুরু করেছে ব্যাজিল। সিউলের ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিন কোরিয়াকে ৫–০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। দুটি করে গোল করেছেন এস্তেভোঁ ও রদ্রিগো। একবার জালের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল ব্রাজিলের। সেই ম্যাচেও অসাধারণ পারফরম্যান্সে ৪–১ গোলে জিতেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও পরের ম্যাচেই হেরে কোয়ার্টার–ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিল দলটি। প্রথম ১০ মিনিটে দূর থেকে রদ্রিগো ও ভিনিসিউসের একটি করে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটের পর, ত্রয়োদশ মিনিটে চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। দারুণ রক্ষণচেরা পাস বাড়ান ব্রুনো গিমারাইস, চোখের পলকে ছুটে গিয়ে ছয় গজ বক্সের মুখে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান এস্তেভোঁ। কিছুক্ষণের মধ্যে হেডে আবার জালে বল পাঠান কাসেমিরো। তবে নিজেই অফসাইডে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। একের পর এক আক্রমণে একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে ব্রাজিল। দারুণ সব সুযোগও পাচ্ছিল তারা; তবে ব্যবধান বাড়ছিল না। ২৭ মিনিটে মাথেউস কুইয়ার পাস ডি–বক্সে দারুণ পজিশনে পেয়ে অনায়াসে ফ্লিক করতে পারতেন ভিনিসিউস; কিন্তু ব্যাকহিল করে বল হারান তিনি। পরের মিনিটে খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন এদের মিলিতাও । ৪১ মিনিটে আরেকটি দর্শনীয় গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ডি–বক্সের বাঁ দিক থেকে কাটব্যাক করেন ভিনিসিউস, প্রতিপক্ষকে ধোঁকা দিতে রদ্রিগো ডামি করে ছেড়ে দেন বল, এরপর কাসেমিরোর পাস ধরে এই পা ওই পা করে দুই ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে আক্রমণাত্মক শুরু করে ব্রাজিল এবং দুই মিনিটের মধ্যে আরও দুটি গোলও পেয়ে যায় তারা। ৪৭ মিনিটে ডি–বক্সের বাম দিকে ডিফেন্ডার কিম মিন–জে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে এস্তেভোঁর পায়ে মেরে বসেন। আর বল ধরে ক্ষীপ্রতায় এগিয়ে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন চেলসি ফরোয়ার্ড। ৭৭ মিনিটে স্কোরলাইনে নিজের নাম তোলেন ভিনিসিউস। প্রতি–আক্রমণে মাথেউস কুইয়ার পাস মাঝমাঠে ধরে দ্রুত গতিতে সবাইকে পেছনে ফেলে ছুটে যান রেয়াল মাদ্রিদ তারকা, ডি–বক্সে ঢুকে গতি কমিয়ে দেন তিনি, ছুটে আসা ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথার শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে। এশিয়া সফরের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার স্বাগতিক জাপানের বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল।