বর্তমানে আমার প্রিয় শহর চট্টগ্রামে আবর্জনা, ভাঙা ফুটপাত যেটুকু আছে দোকানে দখল করা, অটো রিক্সা আর ছোট গাড়ির উপদ্রবে রাস্তায় হাঁটা মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য।
আজকাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, তাতে লাভ কী হলো? তাদের আসার কোন সময় ঠিক নাই অনেক সময় নিয়মিত আসে না। অনেক সময় বাড়ির মানুষ অফিস থেকে হয়তো ফেরেননি, মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে টিউশনে চলে যায়, কখন যে সিটি করপোরেশনের সেই আবর্জনা নেওয়ার লোকটা বাঁশি বাজালো মানুষ জানে না। আবার নানা কারণে কেউ আবর্জনা দিতেই পারল না। তখন আবার গলির সামনে কিংবা যত্রতত্র ময়লা–আবর্জনা রাস্তার উপর ছড়িয়ে আছে। যার কারণে দুর্গন্ধে রাস্তায় হাঁটা দায়। আবর্জনা সকাল আটটার ভেতরে নিয়ে যাওয়া হোক।
সিটি করপোরেশনের কাছে আমাদের একটিই আবেদন, সুন্দর ও স্বচ্ছ চট্টগ্রাম শহর গড়তে শুধু ঝাড়ু না দিয়ে আগে মানুষের মানসিকতা বদলানোর জন্য শেকড় থেকে জঞ্জাল ও কুঅভ্যাসটাকে উপড়ে ফেলতে হবে, নতুবা সিটি করপোরেশনের কাজ অরণ্যে রোদন হবে। আর মানুষের মন তখনই বদলাবে যখন রাস্তাঘাট ভালো হবে, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেললে জরিমানা হবে। এরজন্য ডাস্টবিন পর্যাপ্ত থাকা ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি সেই আবর্জনা আট টার ভেতরেই পরিষ্কার করা উচিত। বিশেষ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো। এগুলো না হলে এই শহর কোনোদিনও স্বচ্ছ হবে না।
শওকত এয়াকুব
চকবাজার, চট্টগ্রাম।