হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় ফিল্মি স্টাইলে রাউজানের ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিমকে (৫২) গুলি করে হত্যার দুইদিন পর হাটহাজারী থানায় মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নিহতের স্ত্রী তাসফিয়া আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনজুরুল কাদের ভূঁইয়া জানান, মদুনাঘাট হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অবশ্য এর আগে থেকে থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ঘটনার পর রাতে পুলিশ রাউজান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে। তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত মো. আবদুল হাকিমের ব্যবহৃত গাড়িটির বডি ও সামনের কাচে চারটি, চালকের পাশের জানালায় ছয়টি এবং নিহত হাকিমের পাশে থাকা জানালায় ১২টিসহ মোট ২২টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর বিকেলে বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে যাওয়ার পথে মদুনাঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে হাটহাজারী অংশে নগরমুখী প্রাইভেটকারটিকে গতিরোধ করে পেছন থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে আসা মাস্ক পরিহিত কয়েকজন দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরে পড়ে। ঘটনায় কারে থাকা রাউজানের বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর আস্থাভাজন হামিম এগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের পিতা আবদুল হাকিম ও তার গাড়ি চালক মুহাম্মদ ইসমাইল (৩৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন বুধবার বাদে আছর তার নিজ গ্রাম পাঁচখাইন দরগাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।