বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য নজির হলো চব্বিশের জুলাই বিপ্লব। তরুণদের ডাকে রাজপথে নেমে এসেছিল সেদিন শিক্ষক–বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সংবাদকর্মীসহ সকল শ্রেণি–পেশার মানুষ। অভিভাবক, রিকশাওয়ালা, হকারসহ সবাই নেমে এসেছিল সেদিন ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করতে। কিন্তু বিপ্লবের চৌদ্দ মাসেরও বেশি সময় চলে গেলেও এখনো সচল হয়ে উঠেনি অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহ। স্বৈরাচারের দোসর ও তাদের পদায়নের লোকগুলো বহাল তবিয়তে ঘাঁপটি মেরে বসে থাকায় সংস্কার, বিচার ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় তা এখনো দৃশ্যমান নয়। তাই ৫ দফা গণদাবির পক্ষে ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদেরকেও সোচ্চার হতে হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের সরকার প্রতিষ্ঠা করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং জনগণের কল্যাণকর ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়স্থ (বিআইএ) মিলনায়তনে মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইবিডাব্লিউএফ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডা. এ কে এম ফজলুল হক বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তে গণদাবি আদায়ের পেছনে সব শ্রেণি–পেশার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা জাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনারা এগিয়ে আসলে ৫ দফা বাস্তবায়ন শুধু সম্ভব নয়, তা টেকসইও হবে।
মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, মহিউদ্দীন শাহজাহান, হারুনুর রশিদ, মুহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, জামাল উদ্দীন, শেখ কামরুল ইসলাম, লায়ন নুরুল আবছার, কামরুল হুদা, মুহাম্মদ রফিক, আরিফ হোসেন বাবলু, সাইয়েদ আল মামুন, আরিফ হোসেন বাবলু, আব্দুল আজিজ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।