চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫ আসনের ৭১টি ভোটকেন্দ্রের উপর আপত্তি শুনানি গতকাল দিনব্যাপী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দিনব্যাপী শুনানি শেষে নির্বাচন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক কোনো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন ও বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানাননি। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, শুনানিকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উভয়পক্ষের (যারা ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে চায় এবং যারা বহাল রাখতে চায়) বক্তব্য শুনেছেন। উভয়ের বক্তব্যকে যৌক্তিক মনে করায় নির্বাচন কর্মকর্তারা আবার সরেজমিনে ওইসব ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে উভয়ের বক্তব্য যাচাই–বাছাই করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত জানাবেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, একটি ভোটকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় ৩–৪জন পক্ষে–বিপক্ষে নির্বাচন অফিসে আপত্তি দাখিল করেছেন। চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর–পতেঙ্গা) আসনের কোনো ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জমা পড়েনি। এছাড়াও চট্টগ্রাম–১৫ (লোহাগাড়া–সাতাকনিয়া আংশিক) আসনের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার ভোটকেন্দ্র নিয়ে কোনো আপত্তি জমা পড়েনি, তবে একই আসনভুক্ত সাতকানিয়া আংশিক অংশের ভোটকেন্দ্রের উপর আপত্তি দাখিল করা হয়েছে।
অবশিষ্ট ১৫ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭১টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে ৮৬ জন আপত্তি দাখিল করেছে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবরে। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ আজাদীকে জানান, আপত্তিকৃত ৭১টি ভোটকেন্দ্রের ওপর আজকে আমরা শুনানি করেছি। যারা আপত্তি দাখিল করেছেন তাদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের দাবি যৌক্তিক ছিল। তাই আমরা কোনোটাই বহাল বা পরিবর্তন করিনি। আমরা আবার সরেজমিনে ভোটকেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করে যাচাই–বাছাই করবো। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত দেবো। আগামী ২০ অক্টোবর মধ্যে আমরা শেষ করবো। জানা গেছে, আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২০ অক্টোবর চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।