‘অবৈধভাবে’ ৫২ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট মো. শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা–১ এ মামলা হয়েছে বলে সংস্থাটির উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন এ মামলা করেন। খবর বিডিনিউজের।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, শামসুর রহমান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দায়িত্ব পালনকালে জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৯৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ‘অর্জন করে দখলে রেখেছেন’। সেইসঙ্গে তার সম্পদ বিবরণীতে ৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার ৩৭ টাকার সম্পদের ‘তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ তথ্য দিয়েছেন। দুদক বলছে, শামসুর রহমান তার সম্পদ বিবরণীতে ৩১ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেন। তবে যাচাই–বাছাইয়ে তার নামে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৬ টাকার সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার নামে কোনো দায়–দেনার তথ্য পাওয়া যায়নি, বরং ২৯ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৪ টাকার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া গেছে। ফলে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩০ টাকা, যার বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ৪১ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৩ টাকা। সে হিসেবে তার বৈধ আয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৯৭ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। ১৯৭৫ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত তার এ সম্পদ অর্জনের তথ্য দিয়েছে দুদক।