‘অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণের একসেস–টু জাস্টিস নিশ্চিতকল্পে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের সূচনা হয়েছে। মামলাজট দেশের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতির অন্তরায়।
লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রম উক্ত অন্তরায় দূরিকরণের সফল কার্যক্রম হিসেবে ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। লিগ্যাল এইড অফিসের প্রি–কেইস মেডিয়েশন এবং পোস্ট কেইস মেডিয়েশনের সফলতায় মুগ্ধ হয়ে সরকার উক্ত কার্যক্রমকে বাধ্যতামূলক করে আইনের সংশোধনী আনয়ন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে। যা দেশের বিচার বিভাগের জন্য নজীরবিহীন একটি ব্যাপার। সরকারের উক্ত মহৎ কার্যক্রম বাস্তবায়নে আদালতের সহায়ক কর্মচারীদের (পেশকার, সেরেস্তাদার, নাজির, জারিকারক) সেবকের মত কাজ করতে হবে। এর ফলে দ্রুত সময়ে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
গতকাল সিএমএম আদালত, চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি খরচে আইনি সহায়তা বিষয়ক আদালতের কর্মচারীদের সচেতনতামূলক কর্মশালায় এসব কথা বলেন চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার (বিচারক) রূপন কুমার দাশ। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জজ (নেজারত বিভাগ) আরফাতুল রাকিব, ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বক্কর, মো. আলমগীর প্রমুখ। কর্মশালায় সিএমএম আদালতের সকল সহায়ক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।