দেশে পঞ্চাশটা জাতি আছে, শুধু মুসলিম ছাড়া সবাই মিলে জোট হয়। কেন? আমরা সবাই বাংলাদেশি। সবাই মিলে একজাতি। কেউ আদিবাসী নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। একটা ভিনদেশী সন্তু লারমার সাথে কিভাবে চুক্তি করে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার চেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট সন্তু লারমা।
গতকাল বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা এবং ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিএইচটি সমপ্রীতি জোটের সমন্বয়ক থোয়াইচিং মং শাক লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত রাখার জন্য দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের সহযোগিতায় ‘চাকমা জাতি পরিচালিত সংগঠন’ ইউপিডিএফ ও জেএসএস পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন থোয়াইচিং মং শাক। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক হল ভারতীয় সহযোগিতায় চাকমা জাতি পরিচালিত ইউপিডিএফ ও জেএসএস নামক সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। শান্তিচুক্তি পাহাড়ে অশান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে থোয়াইচিং মং শাক বলেন, নামে শান্তি চুক্তি হলেও এই চুক্তির মূলে রয়েছে অশান্তি। এই চুক্তির ২৮ বছর চলছে, সামনের ডিসেম্বরে ২৯ বছর হবে। এই ২৯ বছরে তিনি (সন্তু লারমা) কী করেছে? লিখিত বক্তব্যে থোয়াইচিং মং শাক বলেন, পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার জন্য এনজিওদের কর্মকাণ্ড দায়ী। এই এনজিওদের ফান্ড আপনি বন্ধ করেন দেখবেন, আদিবাসী শব্দ কেউ উচ্চারণ করবে না। সংবাদ সম্মেলন থেকে পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী সেনা ক্যাম্প বাড়ানো, বিদেশি অর্থায়ন ও প্রভাবিত সংগঠনগুলোর কার্যক্রম দৃঢ়ভাবে দমন করা, আদিবাসী–উপজাতি, জুম্ম–সেটেলার বাঙালি ইত্যাদি বিভাজনমূলক শব্দ বাতিল করে জাতীয় পরিচয়ে ঐক্যবদ্ধ করাসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিএইচটি সমপ্রীত জোটের সদস্য আইনজীবী পারভেজ তালুকদার, সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক পাইশিখই মারমা, সমন্বয়ক রাকিব হোছাইন নওশাদ, ইখতিয়ার ইমন ও তন্ময় হোসেন নাসির উপস্থিত ছিলেন।