দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনজন, ঝিনাইদহে দুইজন, নারায়ণগঞ্জে এক শিশু, বগুড়া ও গাইবান্ধায় একজন করে। গতকাল রোববার সকাল থেকে বিকেলে এ বজ্রপাত হয়।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বজ্রপাতে দুই বোন ও এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সবাই খেয়াপারের জন্য ঘাটে অপেক্ষায় ছিলেন। নিহতরা হলেন– হোমনা উপজেলার নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৭) ও জাকিয়া বেগম (২৩)। তারা সম্পর্কে দুজন সহোদর বোন। অপর ব্যক্তি একই উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের খোদেদাউদপুর গ্রামের রাহিনুর ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২)। নিহত রাশেদুল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। হোমনা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বাংলানিউজের। ঝিনাইদহ জেলায় বজ্রপাতে শিমুল বিশ্বাস ও হুরমত শেখ নামে দুইজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে সদর উপজেলার আড়মুখি ও শৈলকূপা উপজেলার শেখরা গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ায় বজ্রপাতে ওয়াসিম (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার উপজেলার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন। বগুড়ার গাবতলীতে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমাছেও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম শেফালি বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের দেলোয়ার প্রামাণিকের স্ত্রী। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দিঘলকান্দি চরে বজ্রপাতে আব্দুল আজিজ (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।