নগরের পাঁচলাইশ এলাকার একটি বাসা থেকে ৪৯ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িত ওই বাসার গৃহপরিচারিকার মেয়েসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ধৃতদের কাছ থেকে চোরাই স্বর্ণের মধ্যে ১৬ ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার, গলিত স্বর্ণের পাত, স্বর্ণ বিক্রির ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণ বিক্রির টাকায় কেনা আইফোন ও স্যামসাং মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ধৃতরা হচ্ছেন গৃহপরিচারিকার মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী (১৯), তার সহযোগী ইভা বেগম (৩২), হাসেনা বেগম (৬৭) ও শান্তা আক্তার নীলা (২৬)। গত শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানা ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলাইমান বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, ১৬ আগস্ট চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহকর্ত্রী উম্মুল খায়ের আমিন (৫৮) বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা (নং ২৯) দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, বাসা থেকে মোট ৪৯ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এদিকে অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। শনিবার ভোরে ভৈরব থেকে সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী ও ইভা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ১৪ আনা ও স্বর্ণের বিক্রির নগদ ৯০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত স্যামসাং ও আইফোন জব্দ করা হয়। এরপর সাথী ও ইভার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হাসেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে স্বর্ণ বিক্রির নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ধৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শান্তা আক্তার নীলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৩ ভরি ১২ আনা ও স্বর্ণের বিক্রির নগদ ১ লাখ টাকা এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের টাকা দিয়ে কেনা একটি স্যামসাং ও একটি আইফোন জব্দ করা হয়।
এছাড়া অভিযানে সুদীপ্ত জুয়েলার্স নামে একটি দোকান থেকে ১০ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের গলানো পাত এবং রতন জুয়েলার্স নামে অপর দোকান থেকে চোরাইকৃত ১ ভরি ৮ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের গলানো পাত উদ্ধার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, বাদীর ঘরে গৃহপরিচারিকা পারভীন আক্তার ৮ বছর ধরে কাজ করেন। সেই সুবাদে পারভীন আক্তারের মেয়ে আসামি সুমাইয়া আক্তার প্রায় ওই বাসায় যাতায়াত করত। স্বর্ণ চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তদন্তে চুরির সঙ্গে সুমাইয়াসহ বাকিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।