লোহাগাড়ায় অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে হাসপাতালের এক কর্মচারী দগ্ধ হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে লোহাগাড়া মা ও শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ নজরুল ওই হাসপাতালের সুপারভাইজার ও সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের সৈয়দ আহমদের পুত্র।
জানা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অঙিজেনের খালি সিলিন্ডার থেকে মিটার খুলে নতুন সিলিন্ডারে লাগাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আগুনে হাসপাতালের কর্মচারী নজরুল দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও আগুন দেখে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা দিগবিদিক ছুটাছুটি করেন। হাসপাতালের অন্য কর্মচারী আহত নজরুলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অঙিজেন সিলিন্ডারে তেল, গ্রীস বা অন্য কোনো দূষণ থাকলে দ্রুত অঙিজেন প্রবাহের কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এছাড়া সিলিন্ডারে খুব দ্রুত ভালভ খোলার ফলে চাপ বেড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ হতে পারে। এদিকে, দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় তাদের ভেতর প্রবেশ করতে বাধা প্রদান ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে সংবাদকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নোমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত কর্মচারী নজরুল বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, সামপ্রতিক সময়ে অঙিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি নিয়ে নানা শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। অঙিজেন নিজে দাহ্য নয়, তবে আগুন, বৈদ্যুতিক স্পার্ক, তেল–চর্বি লেগে যাওয়া, অতিরিক্ত চাপ বা উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সিলিন্ডারের কাছে ধূমপান বা আগুন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ফেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।











