অনুভবেই আমরা সকলেই অনেক কিছু উপলব্ধি করতে শিখি। মূলত অনুভবের মাধ্যমেই আমাদের চলতি জীবনের নানা সিদ্ধান্ত অন্তনিহিত। অনুভবে আমরা সবাই নিজেকে সমৃদ্ধ মনে করি। বাস্তবিক অর্থে অনুভবের গভীরতায় আমাদের মানবিকতা সম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি মনে করি। আমরা কমবেশি সকলে শিক্ষা গ্রহণ করি বা শিক্ষিত হতে চাই। কেউ কেউ উচ্চ শিক্ষা, কেউ কেউ মাধ্যমিক ও কেউ কেউ প্রাথমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করে থাকে। কিন্তু প্রচলিত সার্টিফিকেট অর্জনের চেয়েও আমাদের মানবিক শিক্ষা অর্জন অনেক বেশি জরুরি। আর এজন্য চাই অনুভবের রাজ্যে আমাদেরকে সত্যিকারভাবে মানবিক হতে হবে। আমাদের অনুভবের গভীরতা অনেকবেশি মনুষ্যত্বসম্পন্ন এবং বিবেকবান হতে হয়। অনুভবেই পারে আমাদেরকে প্রকৃত অর্থে জেগে উঠতে। অনুভবেই প্রকৃত স্বার্থকতা অন্তনিহিত। অনুভব যদি সুন্দর ও সত্য হয় তবেই একজন মানুষের কর্ম মহতি হয়। তাই অনুভবের রাজ্যকে যত্ন করা জরুরি। অনুভবকে সত্যের মহিমায় জাগিয়ে রাখা দরকার। যার অনুভব যত বেশী গভীর ও সুন্দর হয় তার মানবিকতা ততবেশি মমত্ববোধ হয়।একজন প্রকৃত মনের মানুষ তার সুন্দর মনের অনুভবে তার আপনজন,বন্ধু কিংবা আত্নার আত্নীয়দের মনের কথা বুঝতে পারে।সুখ দুঃখের গভীরতা মাপতে পারে। অনুভবে যার মানবিকতা আছে সেই প্রকৃত সুশিক্ষিত। সেই মানুষটি তার পরিবারের স্বজন, নিকটাত্মীয়, বন্ধুবান্ধব ও আত্নার আত্নীয়দের মনের কথা বুঝতে পারে। সুখ দুখের ভাগিদার হওয়ার অনুভবটুকু পরিমাপ করতে পারে। একজন মহৎ মনের সুশিক্ষিত মানুষ তার মনের অনুভবেই তাঁর আপন দুঃখগুলো বুঝতে পারে এবং দুঃখগুলো ভাগাভাগি করার চিন্তা করে। আর যার নিজেকে সম্পুর্ণ স্বার্থপর রূপে গড়ে তুলতে সক্ষম তাদের মনের অনুভবে কখনো মানবিকতা স্থান পায় না। তারা সবসময় নিজের জন্যই চিন্তা করে, নিজের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়। তারা তার কোন আপনজনের কোন দুঃখে কখনো ভাগীদার হতে পারে না। মূলত তারা শিক্ষিত হলেও শিক্ষার প্রকৃত গভীরতা তথা মনের অনুভবে মানবিকতা অনুপস্থিত। তারা কখনো মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। মানবিক সমাজ বিনির্মাণে এবং সুন্দর জীবন গড়তে চাই আমাদের অনুভবের গভীরতাগুলোকে মানবিকতায় পরিপুর্ণ করতে হবে। অনুভবের রাজ্যগুলোকে সদা বিবেকের তাড়নায় জাগরিত করতে হবে। সত্য, সুন্দর ও মানবিক দায়িত্ববোধ পালনই পারে আমাদের সত্যিকারের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।